পরিবহণ অর্ধেক চলাচলের কারণ জানালেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, ১১ আগস্ট থেকে ধীরে ধীরে বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে। তবে অর্ধেক গণপরিবহন চলাচলের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে পরামর্শ এসেছে। কিছুদিন অর্ধেক পরিবহন চলাচল করলে আমরা পরিস্থিতি বুঝতে পারবো।
আজ সোমবার দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অর্ধেক পরিবহন চলাচল বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ কথা বলেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব বলেন, জেলা পর্যায়ে ডিসি, এসপি, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বসে আমরা নিজেরা ঠিক করে দেব যতগুলো বাস আছে তার অর্ধেক আজকে চলবে, পরেরদিন বাকি অর্ধেক চলবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অন্তত কিছুদিন জেলাপর্যায়ে ডিসি, এসপি, পরিবহনমালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে বসে যত বাস আছে, তার অর্ধেক চালাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়, যাতে বাইরে থেকে চাপ কম হয়। একসঙ্গে বেশি গাড়ি ঢাকা বা চট্টগ্রামে ঢুকতে না পারে।
এ সিদ্ধান্ত কেবল আন্তজেলার জন্য কি না, তা প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটি স্থানীয় প্রশাসনের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক স্থানীয় প্রশাসন এটা ঠিক করবে। ডিসি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং মালিক ও শ্রমিকেরা বসে পদ্ধতি বের করবেন।
এ দিকে বাস অর্ধেক চলাচলের বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী অর্ধেক বাস চললে পরিবহণ সংকট দেখা দেবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি। সংগঠনটির দাবি, সড়কে অর্ধেক বাস চললে যাত্রীর চাপ বাড়বে। এতে করে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, প্রথমত, শতভাগ যাত্রী নিয়ে অর্ধেক বাস চললে চাপ বাড়বে। এর কী যুক্তি থাকতে পারে, সেটি তাঁরাও বুঝতে পারছেন না। এমনিতেই শ্রমিকেরা কর্মহীন অবস্থায় আছেন। এখন অর্ধেক বাস চললে শ্রমিকেরাও অসুবিধায় পড়বেন। এ জন্য এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা দরকার।