পরিবহন আইনের প্রতিবাদে খুলনায় বাস বন্ধ, যাত্রীদের ভোগান্তি

Looks like you've blocked notifications!
নতুন সড়ক ও পরিবহন আইন বাস্তবায়নের প্রতিবাদে আজ সোমবার সকাল থেকে ১৮টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করায় খুলনা টার্মিনালে অলসভাবে পড়ে আছে বাস। ছবি : এনটিভি

নতুন সড়ক ও পরিবহন আইন বাস্তবায়নের প্রতিবাদে খুলনা থেকে ১৮টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে কর্মবিরতি পালন করছে সাধারণ শ্রমিকরা। আজ সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া অঘোষিত এ ধর্মঘটে যাত্রীরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে ।

খুলনা মোটরবাস শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি কাজী নুরুল ইসলাম বেবী এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘কোনো সংগঠন থেকে এ বাস ধর্মঘট আহ্বান করা হয়নি। শ্রমিকরা স্বেচ্ছায় কাজ থেকে বিরত রয়েছে। প্রায় ৯০ ভাগ বাসই বন্ধ রয়েছে।’

সাধারণ শ্রমিকদের দাবি, সড়ক ও পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারায় সংশোধন চায় তারা। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, দুর্ঘটনার মামলা জামিনযোগ্য করা। আইন সংশোধনের পরই এটি কার্যকর করা হোক। এটা না করা পর্যন্ত শ্রমিকদের এই কর্মসূচি চলবে।

শ্রমিকরা জানায়, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও আইনটি সংশোধন ছাড়াই বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে খুলনায় সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

তবে খুলনা মোটরশ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি কাজী মো. নুরুল ইসলাম জানান, তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আগামী ২১ ও ২২ নভেম্বর শ্রমিক ফেডারেশন বর্ধিত সভা ডেকেছে। ওই সভার এজেন্ডাগুলোর মধ্যে এক নম্বরে আছে সড়ক পরিবহন আইন সম্পর্কে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ। এ ব্যাপারে গতকাল ঝিনাইদহে সব সংগঠন নিয়ে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু গতকাল যশোর এবং আজ সকাল থেকে খুলনার শতকরা ৯০ ভাগ শ্রমিক স্বেচ্ছায় কর্মবিরতি পালন করছে। এখানে তাদের কিছু করণীয় নেই।

এ ব্যাপারে শ্রমিক ফেডারেশনের মহাসচিব আব্দুর রহিম বক্স দুদু জানান, তাদের পক্ষ হতে কোনো ধর্মঘট আহ্বান করা হয়নি। স্থানীয়ভাবে কিছু সংগঠন ধর্মঘট ডেকে যানবাহন চলাচল থেকে বিরত রয়েছে।

তবে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, বৈধ কাগজপত্র না থাকায় অনেক বাস চলাচল করছে না। আবার যাদের সব কাগজপত্র বৈধ রয়েছে তাদের যানবহন চলাচল করছে। আজ সকালে খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ঈগল, সোহাগসহ কয়েকটি পরিবহনের বাস ছেড়ে গেছে।

এদিকে হঠাৎ করে খুলনা থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়ে।

খুলনা মোটরশ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি কাজী মো. নুরুল ইসলাম বেবী আক্ষেপ করে বলেন, ‘সড়কে অবৈধ নসিমন-করিমন চলে, তাদের কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে। এসব যানবাহন বন্ধ ও চালকদের জরিমানা করা হয় না। সব জেল-জরিমানা হয় বাসচালকদের।’

খুলনা জেলা বাস মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন সোনা বলেন, ‘শ্রমিকরা ফাঁসি ও যাবজ্জীবন দণ্ডের ভয়ে গাড়ি চালানো বন্ধ করে দিচ্ছে। আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই তারা এসব করছে।’