পরী মণির সঙ্গ : সিআইডির নজরে ব্যাংকপাড়া

Looks like you've blocked notifications!
আলোচিত চিত্রনায়িকা ও মাদক মামলায় গ্রেপ্তার পরী মণি। ছবিটি গত বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে তোলা। ছবি : মোহাম্মদ ইব্রাহিম

আলোচিত চিত্রনায়িকা পরী মণির বিরুদ্ধে আনা অনিয়ম ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ব্যাংকপাড়ার ঊর্ধ্বতন ব্যক্তি জড়িত কি না সেটি খতিয়ে দেখছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।

সিআইডির কর্মকর্তা বলেছেন, ‘পরী মণির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে গণমাধ্যমে অনেক ব্যাংকের এমডি-চেয়ারম্যানের নাম এসেছে। কিন্তু, তারা আদৌ জড়িত কি না, তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। অনেক মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা আমরা জানতে পেরেছি। ব্যাংকের এমডি-চেয়ারম্যান নাম অনেক গণমাধ্যমে আসছে। কিন্তু এ নামগুলো আমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়নি। যাদের সংশ্লিষ্টতা নেই, তারা যেন হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য আপাতত ব্যাংকের এমডি ও চেয়ারম্যানদের নাম বলতে চাচ্ছি না। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।’

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক। ছবি : সংগৃহীত

অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, আমরা গতকাল একসঙ্গে ছয় মূল আসামির বাসায় তল্লাশি করেছি। কিছু আলামত ও ডিভাইস উদ্ধার করেছি। ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, পাসপোর্ট, মোবাইল, হার্ডডিস্ক এবং ফেরারি গাড়ি জব্দ করেছি। তদন্তের অংশ হিসেবে এই তল্লাশি অভিযান।

শেখ ওমর ফারুক আরও বলেন, পরী মণি, পিয়াসা, মৌ, রাজ, মিশু ও হেলেনা জাহাঙ্গীরের অনেক আলামত জব্দ করে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তদন্তের এ পর্যায়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা পেয়েছি। তবে এই মুহূর্তে তা বলা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের প্রতারণা, অনৈতিক কার্যক্রম ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মতো অপকর্মের সঙ্গে জড়িত নানা পেশার অনেক মানুষের নাম আমরা জেনেছি। তবে তা আমরা যাচাই-বাছাই করছি। যাদের নাম এসেছে তদন্তে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সিআইডির তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, ‘আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো ভিকটিম অভিযোগ করেননি বা যোগাযোগ করেননি। তবে আমরা বেশ কিছু ভিকটিমের নাম জেনেছি। আমরা পরী মণি ও পিয়াসাদের দ্বারা ব্ল্যাকমেইলিংয়ের সত্যতা পেয়েছি। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেকের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। যদিও তারা নিজেরা এখনও তা স্বীকার করেননি। সত্যিকারের ভিকটিমদের আমরা খুঁজছি। তাদের বক্তব্য আমরা শুনব। তা যাচাই-বাছাই করব। পুরোপুরি সত্যতার ভিত্তিতে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা পরী মণিকে গত বুধবার রাতে বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। তিনি এখন মাদক মামলায় রিমান্ডে আছেন।