পর্দা উঠল ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানের
‘ভেঙেছ দুয়ার, এসেছো জ্যোতির্ময়’ থিম নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সালিহ, প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভাষণ দিচ্ছেন।
শিশু শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত এবং এর পরপরই শত শিশু শিল্পীর সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে উদ্বোধন অনুষ্ঠান শুরু হয়। মঞ্চে দাঁড়িয়ে শত শিশু শিল্পীর কণ্ঠে ধ্বনিত হলো জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’। এরপর দেশসেরা শিল্পীরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সংগীত পরিবেশন করেন।
এরপর বিকেল ৫টার দিকে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম। আর এর মাধ্যমেই শুরু হয় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ১০ দিনের বর্ণিল উৎসব।
অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগা’র ধারণ করা ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়। এরপর একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় রণাঙ্গণে কাজ করা ব্রিটিশ সাংবাদিক স্যার মার্ক টালির বক্তব্য প্রচার করা হয়।
‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত আছেন- মালদ্বীপের ফাস্টলেডি ফাজনা আহমেদ, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের স্ত্রী রাশিদা খানম, বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানাসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থা প্রধান, সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সভাপতির বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আলোচনা পর্ব শেষ হলে শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্ব। এ পর্বে ‘ভেঙেছ দুয়ার এসেছো জ্যোতির্ময়’ থিমের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত অডিও-ভিজুয়ালে ফুটে উঠবে জাতির পিতার সংগ্রামী জীবনের নানা অধ্যায়। রাত ৮টার দিকে আতশবাজি ও লেজার শো’র মাধ্যমে শেষ হবে প্রথম দিনের অনুষ্ঠান শেষ হবে।