পর্দা কেলেঙ্কারি : তিন চিকিৎসক কারাগারে

Looks like you've blocked notifications!
(ফরিদপুর জজ আদালতের ছবি) ছবি : এনটিভি

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ (ফমেক) হাসপাতালের ‘পর্দা কেলেঙ্কারি’ ঘটনায় তিন চিকিৎসককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

আজ রোববার সকালে ওই তিন চিকিৎসক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এক নম্বর আদালতে জামিনের আবেদন করেন। ওই আদালতের বিচারক কামরুন্নাহার বেগম জামিনের আবেদন নাকচ করে তাঁদের জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ওই তিন চিকিৎসক হলেন- ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দন্ত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গণপতি বিশ্বাস ওরফে শুভ, ওই হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সাবেক জুনিয়র কনসালটেন্ট মিনাক্ষী চাকমা এবং ওই হাসপাতালের সাবেক প্যাথলজিস্ট এ এইচ এম নুরুল ইসলাম।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) দুলাল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘ওই তিন চিকিৎসক গত ২ ডিসেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন। এ জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তাঁদের নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশনাও দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল ওই তিন চিকিৎসক আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালতের নির্দেশের পর ওই তিন চিকিৎসককে আদালত থেকে ফরিদপুর জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।’

পরস্পর যোগসাজশে অপ্রয়োজনীয় ও অবৈধভাবে প্রাক্কলন ব্যতিত উচ্চমূল্যে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি (ইকুভমেন্ট) ক্রয়ের মাধ্যমে সরকারের ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করা হয়। এ অভিযোগে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তিন চিকিৎসক, দুজন ঠিকাদার, একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ মোট ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন ফরিদপুরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে।

গত ২৭ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ বাদী হয়ে এ মামলা করেন।