অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

পাঁচ ব্যাংকারের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

Looks like you've blocked notifications!
হাইকোর্টের ফাইল ছবি

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের এক মামলায় পাঁচ ব্যাংকারের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতে আগাম জামিন আবেদন করে তারা হাজির না হওয়ায়  আজ সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ন কবির। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

গত ২১ অক্টোবর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাউথবাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কর্মাস ব্যাংক লিমিটেডের (এসবিএসি) সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া ভিজিট প্রতিবেদন ও ভুয়া স্টক লট প্রস্তুত করে এস এম আমজাদ হোসেনের মালিকানাধীন খুলনা বিল্ডার্স লিমিটেড নামের কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন। এতে ২০ কোটি ৬০ লাখ টাকা ঋণ তুলে ওই টাকা পাচারের জন্য বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তির হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তর করেন আসামিরা।

পাঁচ আসামি হলেন-সাউথবাংলা ব্যাংকের ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহা. মঞ্জুরুল আলম, এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ক্রেডিট ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম, ব্যাংকটির খুলনার শাখার সাবেক এমটিও এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার তপু কুমার সাহা, সিনিয়র অফিসার বিদ্যুৎ কুমার মণ্ডল ও মারিয়া খাতুন।

পরে  ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, দুর্নীতি মামলায় এ আসামিরা জামিন আবেদন করেন। পরে আবেদনটি শুনানির জন্য তালিকায় এলে তারা হাজির হননি। এর আগেও একদিন তালিকায় ছিল সেদিনও আসেননি। এরপর আজকে তারা নট প্রেস (উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ) চেয়েছেন। পরে আদালত আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে তারা যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের আইজিপি, ইমিগ্রেশন ও দুদককে নির্দেশ দেন।