পাকুন্দিয়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মাননববন্ধন

Looks like you've blocked notifications!
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ রোববার দুপুরে গুরুদয়াল কলেজ চত্বরে মানববন্ধন। ছবি : এনটিভি

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ রোববার দুপুরে গুরুদয়াল কলেজ চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার বিকেলে গ্রেপ্তার হওয়া আসামি আবু হানিফাকে আজ রোববার কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে বিচারক কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।

আগামীকাল গ্রেপ্তার হওয়া ওই আসামির রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান টিটু।

চার সন্তানের মা ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আজ দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের সরকারি গুরুদয়াল কলেজ চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচি চলাকালে বক্তারা অবিলম্বে মামলার অন্যতম আসামি পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন বাচ্চুকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। সেই সঙ্গে আটক অপর আসামি পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হানিফাসহ দুই আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দেন আবির ভূঁঞা, বোরহানুল ইসলাম শুভ, আবু হানিফ অপু, আরমান হাসান টুটুল এবং সুইটি আক্তার। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর এক ছেলে তাদের সহপাঠী বলে জানিয়েছেন কর্মসূচির উদ্যোক্তারা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পাকুন্দিয়া উপজেলায় গত ১৯ মে দিবাগত রাতে বাড়িতে একা থাকার সুযোগ নিয়ে আসামিরা ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর এ ঘটনায় মামলা না করতে আসামিরা ওই গৃহবধূ ও তার সন্তানদের প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং চাপ প্রয়োগ করেন। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে গতকাল শনিবার দুপুরে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা করেন।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, প্রায় প্রতিদিন রাতেই জালাল উদ্দীন বাচ্চু এলাকায় ডাকাত হিসেবে পরিচিত আবু হানিফ নামের এক ব্যক্তিকে নিয়ে গভীর রাতে তার ঘরের পেছনের নির্জন স্থানে নারী এনে আনন্দ-ফুর্তি করতেন। এমন কুকর্মের প্রতিবাদ করায় এবং আশপাশের লোকজনের কাছে ঘটনা ফাঁস করে দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা দুজনে মিলে তাকে ধর্ষণ করেন।