পাকুন্দিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
জ্বালানি তেল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে বিএনপির তিন নেতাকর্মী পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপি সমাবেশ আয়োজন করে।
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রায় ২০০ রাউন্ড করে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে পুলিশের ২০ সদস্যসহ বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে পুলিশ আনুমানিক ১০ জনকে আটক করেছে।
আজ সকাল ১১টায় উপজেলার সৈয়দ চৌরাস্তা মোড় এলাকায় বিএনপি পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি করতে চাইলে পুলিশ তাতে বাধা দিলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর ফলে সৈয়দ চৌরাস্তা মোড় থেকে মঠখলাগামী সড়ক, হোসেন্দি সড়ক, মির্জাপুর সড়ক ও পাকুন্দিয়াগামী সড়কে অবস্থান করা বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রথমে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং পরে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপর ব্যাপক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রায় ২০০ রাউন্ড করে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ চলাকালে ওই চারটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন হোসাইন জানান, বিএনপির সমাবেশের কোনো পূর্ব অনুমতি ছিল না। তাদের মিছিল ও সমাবেশ করতে বাধা দিলে পুলিশের উপর লাঠিসোটা নিয়ে চড়াও হয়। এর ফলে আমাদের কিছু সদস্য আহত হয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন জানান, আমরা এক সপ্তাহ আগেই পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার পাট মহলে সমাবেশের জন্য পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করলেও অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরে উপজেলার সৈয়দ চৌরাস্তা মোড় এলাকায় সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ আমাদের লাঠিপেটা করে আমাদের শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করে। অনেককেই আটক করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন হোসাইন জানান, বিএনপির সমাবেশের কোন পূর্ব অনুমতি ছিল না। তাদেরকে মিছিল ও সমাবেশ করতে বাধা দিলে পুলিশের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে চড়াও হয়। এর ফলে আমাদের কিছু সদস্য আহত হয়।