পাটখাতের উন্নয়নে অংশীজনদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে : পাটমন্ত্রী
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) বলেছেন, পাটখাতের উন্নয়ন, আধুনিকায়ন ও রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে সরকার অংশীজনদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে।
মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশনের (বিজেএ) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পাট) তসলিম কানিজ নাহিদা, বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশনের (বিজেএ) চেয়ারম্যান শেখ সৈয়দ আলী, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আরজু রহমান ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান এফ. এম সাইফুজ্জামানসহ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, সরকার পাট চাষ নিশ্চিত করতে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখার পাশাপাশি কৃষকদের অন্যান্য উপকরণ সহায়তা প্রদান করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাটের উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাটকলসমূহ নিরবচ্ছিন্নভাবে পাট সংগ্রহ করতে পারছে যা রপ্তানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং কৃষকরাও পাটের সঠিক মূল্য পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, দেশে পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকার বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন ও ব্যবহার সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করেছে। ইতোমধ্যে, এখাতের উদ্যোক্তাগণ ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন; যার অধিকাংশই বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বহুমুখী পাটজাত পণ্যকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করতে প্রচার প্রচারণাসহ বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করার কাজ চলমান রয়েছে। এসব মেলা পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী, বিপণনকারী, ব্যবহারকারী এবং বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে বেশি যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করছে।
তিনি বলেন, দেশে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে সর্বদা পাটের বাজারদর পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এবছর পাট মৌসুম শুরু হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচাপাট বাজারে আসতে শুরু করেছে। এ মৌসুমে কাঁচাপাটের উৎপাদনও সন্তোষজনক। পাট চাষিরা পাটের ভালো দাম পাবেন। কোন কারণে যেন কাঁচাপাটের দাম অসহনীয় না হয়, সেজন্য সর্বদা কাঁচাপাটের বাজার পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।