পাবনায় আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার গৌরিগ্রাম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ১৩ জনকে আটক করেছে।
নিহতের নাম আলহাজ শেখ (৩৫)। তিনি উপজেলার ঘুঘুদহ পূর্বপাড়া গ্রামের মানিক শেখের ছেলে এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শরবেশ শেখের নাতি।
আহতরা হলেন নিহতের ভাই জেল হক শেখ (২০), একই গ্রামের মতিউর রহমান (৩০), রবিউল ইসলাম (২৫), আব্দুল বাতেন (৩৭), আব্দুল খালেক (১৯)।
আহতদের সাঁথিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মতিউর রহমানকে এবং লাশ দেখে স্ট্রোক করা খালেককে পাবনা হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, গৌরিগ্রাম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয় শরবেশ শেখ ও মোসলেম মাস্টার গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গত সোমবার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে শরবেশ শেখ সভাপতি নির্বাচিত হন। এতে ক্ষুব্ধ হন মোসলেম মাস্টার ও তাঁর সমর্থকরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নবনির্বাচিত সভাপতি শরবেশ শেখ গ্রুপের লোকজন ঘুঘুদহ পূর্বপাড়া মাঠে কাজ করতে গেলে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় মোসলেম মাস্টার গ্রুপের লোকজনের। এক পর্যায়ে দুপক্ষের লোকজন লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আলহাজ শেখ ফালাবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলহাজকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ফালাবিদ্ধ হয়ে একজন মারা যান। ঘটনার পরপরই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেইসঙ্গে মোসলেম মাস্টারসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযান চলছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।