পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধ

Looks like you've blocked notifications!
সংঘর্ষের ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা। ছবি : এনটিভি

পাবনার হেমায়েতপুরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে গতকাল শনিবার রাতে পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চরপ্রতাপপুর কাবলিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ ও আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে কাবলিপাড়ার মৃত তোফাজ্জলের তিন ছেলে হযরত মালিথা (৪৬), আব্দুল আলীম (৪৫) ও সজীব আলীর (৩৫) অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, হেমায়েতপুর ইউনিয়নে জমিজমা ও এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ সংঘর্ষ বাধে। শনিবার রাত ১১টার পর এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মালিথাসহ ২১ জনকে আসামি করে পাবনা সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে প্রতিপক্ষ হযরত মালিথা।

গুলিবিদ্ধ আব্দুল আলীম জানান, আলাউদ্দিন চেয়ারম্যানের নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচারে হেমায়েতপুর এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। তাঁরা ক্ষমতার দাপটে আমাদের পূর্বপুরুষের সম্পত্তির প্রায় শত বিঘা জমি দখল করে নিতে চায়। আদালতের আদেশও তাঁরা মানতে নারাজ।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘গতরাতে জমি নিয়ে বিরোধে কথা কাটাকাটি থেকে মারামারির ঘটনা শুনেছি। কয়েকজন আহত ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে হেমায়েতপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মালিথা বলেন, ‘কিছু মানুষ জোরপূর্বক আমাদের জমি দখল করে রেখেছে। মারামারির ঘটনায় আমার কোনো সম্পৃক্ততা নই; লাইসেন্স করা বন্দুক থাকলেও আমি কোনো গুলি করিনি। জমির দখল ধরে রাখতেই মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে।’

এ ব্যাপারে পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মোশারফ হোসেন বলেন, ‘দুই পক্ষই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। জমিজমা নিয়ে বিরোধে এই ঘটনা ঘটেছে।’