পাবনায় বিএনপির সমাবেশে সংঘর্ষ, যুবদল নেতা ছুরিকাহত

Looks like you've blocked notifications!
পাবনায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ। ছবি : এনটিভি

পাবনায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশে কেন্দ্রিয় নেতাদের সামনেই বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন ছুরিকাহত হয়েছেন। আহত মনিরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। 

এর আগে আজ সোমবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়্যারমান সাংবাদিক শওকত মাহমুদ বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া না হলে পাবনা থেকেই সরকারর পতনের আন্দোলন শুরু হবে। আগামীতে চূড়ান্ত আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে হঠানো হবে।’

পাবনা জেলা বিএনপি আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শওকত মাহমুদ এ কথা বলেন।

এ সময় দলের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আপনার রাস্তাঘাট বন্ধ করে রেখেছেন, কিন্তু এই সমাবেশে আসা ঠেকাতে পারেনি। আজকে আওয়ামী লীগের অবস্থা ভালো নয়, ইতোমধ্যে পাবনা সদর উপজেলায় ইউনিয়ন নির্বাচন নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। আওয়ামী লীগের দিন শেষ হয়ে গেছে, পালানোর পথ নাই। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া না হয় তাহলে কঠোর আন্দোলনের মধ্যে সরকারের পতন ঘটনানো হবে।’

পাবনায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়্যারমান সাংবাদিক শওকত মাহমুদ। ছবি : এনটিভি

খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পতন শুরু হয়ে গেছে, তারা বাংলাদেশের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে, আমাদের জ্ঞানহীন জাতিতে পরিণত করেছে। অবিলম্বে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে।’

যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশিদ বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয়েছে বলে গতকাল পাবনা সদরে ইউনিয়নের সবগুলোতে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। পুলিশ দিয়ে সরকারের পতন ঠেকাতে পারবে না। পুলিশ ভাইদের বলছি, আপনারা নিরপেক্ষ থাকবেন।’

সমাবেশ সুষ্ঠুভাবে হলেও প্রধান অতিথির বক্তব্যের আগে সমাবেশস্থলে পাবনা জেলা বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সমাবেশ কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে ছুরিকাহত হয় যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন। বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। মাইক বন্ধ করে প্রধান অতিথি বক্তব্য দেন। শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ দিকবিদিক ছুটাছুটি শুরু করে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি পুলিশ নিয়ন্ত্রণে আনে।

পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুল রহমান চন্দন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি গোলাম রাব্বানী, সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট এ কে এম সেলিম রেজা হাবিব, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মান্নান মাস্টার, আব্দুস সামাদ খান মন্টু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ছিদ্দিকুর রহমান, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মামুনুর রশিদ খান প্রমুখ।