পাবনায় সাবেক সাংসদ আরজুকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ

Looks like you've blocked notifications!
পাবনা-২ আসনের সাবেক সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খন্দকার আজিজুল হক আরজুর গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। ছবি : এনটিভি

পাবনা-২ আসনের সাবেক সাংসদ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খন্দকার আজিজুল হক আরজুকে গ্রেপ্তার ও তাঁর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী। আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে কাশিনাথপুর মোড়ে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে তারা।

মানববন্ধন চলার সময়ে মহাসড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ১টা পর্যন্ত এ অবরোধ চলে।

জানা যায়, পাবনার বেড়া উপজেলার পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এএম রফিকউল্লাহর বাড়ি লক্ষ্য করে আজ ভোররাতে গুলিবর্ষণ ও হাত বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এর আগে গত শুক্রবার রফিকুল্লাকে লাঞ্ছিত করেন খন্দকার আরজু।

ইউপি চেয়ারম্যান এএম রফিকউল্লাহ বলেন, ‘আজ ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে পাবনা-২ আসনের সাবেক এমপি আরজু খন্দকারের সন্ত্রাসীরা আমার বাড়ি লক্ষ্য করে ১১টি ককটেল নিক্ষেপ করে। এ ছাড়া তিন রাউন্ড শটগানের গুলি ছোঁড়ে। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’

রফিকউল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজুর সঙ্গে আমার নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত শুক্রবার একটি বাড়িতে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ ঘটনায় আমি আমিনপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি। আমার ধারণা জিডি করাতেই পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’

অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু বলেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। ঘুম ভেঙে আপনাদের কাছে প্রথম জানলাম। সামনে জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল। আমাকে নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে দলের মধ্যেই প্রতিপক্ষ গ্রুপ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’ 

এ বিষয়ে আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের শান্ত রাখতে কাজ করছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।’