পাবনায় স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
পাবনায় কালেক্টরেট স্কুলছাত্র হাবিবুল্লাহ হাসান মিশু (১৪) হত্যা মামলায় আব্দুল হাদিকে (৩১) মৃত্যুদণ্ড ও পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় বিকেলে এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল হাদি পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের ইসলামগাতির বাসিন্দা এবং পাবনা শহরের জনতা ব্যাংকের অফিস সহায়ক।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে ২৩ মার্চ পাবনা কালেক্টরেট স্কুলছাত্র হাবিবুল্লাহ হাসান মিশু প্রাইভেট পড়তে যায়। বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় মিশু একটি মোবাইল থেকে ফোন দিয়ে তার মাকে জানায়, ‘সে বন্ধুদের সঙ্গে আছে, বাড়ি ফিরতে দেরি হবে’। সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত হলেও মিশু সেদিন বাড়ি ফিরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পাবনা উপশহরের রামানন্দপুর লিচু বাগানে তাকে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়। ২৪ মার্চ মিশুর বাবা মহসিন আলম ছালাম বাদী হয়ে সদর থানায় একটি অজ্ঞাতনামা হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ ওই মোবাইল ফোনের কললিস্ট ধরে তদন্ত করে পাঁচজনকে আসামি করে। দীর্ঘ শুনানির পর আব্দুল হাদিকে হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত করে। এ সময় সাক্ষ্য প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় অন্যদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি অ্যাডভোকেট সালমা আক্তার শিলু ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সনৎ কুমার ও অ্যাডভোকেট তৌফিক ইমাম খান।
নিহত মিশু পাবনা শহরের শালগাড়িয়া কসাইপট্টি মহল্লার মোটরসাইকেল ব্যবসায়ী মহসিন আলম ছালামের ছেলে ও পাবনা কলেক্টরেট স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।