পারিবারিক কবরস্থানে নায়ক সাত্তারের দাফন

Looks like you've blocked notifications!
চিত্রনায়ক সাত্তারের দাফন সম্পন্ন। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকাই চলচ্চিত্রের  ইতিহাসে মাইলফলক সিনেমার নাম ‘রঙিন রূপবান’। এ ছবি দিয়ে সারা দেশে তুমুল জনপ্রিয়তা পান চিত্রনায়ক সাত্তার। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় নারায়ণগঞ্জে নিজ বাসায় এ অভিনেতা মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পারিবারিক কবরস্থানে নায়ক সাত্তারের মরদেহ দাফন করা হয়।

এনটিভি অনলাইনকে প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় নিজ বাসায় তিনি মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে তিনি প্যারালাইজড ছিলেন। আজ সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।’

খসরু আরো বলেন, “অনেকটা নীরবে চলে গেলেন আমাদের ‘রঙিন রূপবান’খ্যাত নায়ক সাত্তার। তিনি শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। মাইলফলক চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন তিনি। সবাই তাঁর আত্মার শান্তির জন্য দোয়া করবেন।”

চলচ্চিত্রে সাত্তারের প্রথম উপস্থিতি ১৯৬৮ সালে। সাত্তার দীর্ঘদিন সিনেমায় অনিয়মিত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি অভিনয় করেছিলেন এফ আই মানিক পরিচালিত ‘চাচ্চু আমার চাচ্চু’ ছবিতে। এতে সাত্তার ছিলেন দীঘির বাবার চরিত্রে।

২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনবার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় চিত্রনায়ক সাত্তারের। এরপর প্যারালাইজড হয়ে যান।

আশির দশকের এই জনপ্রিয় নায়কের উল্লেখযোগ্য ছবি হলো ‘পাগলী’, ‘রঙিন রূপবান’, ‘রঙিন কাঞ্চনমালা’, ‘ঘর ভাঙা সংসার’, ‘রঙিন রাখালবন্ধু’, ‘রঙিন আলোমতি প্রেমকুমার’, ‘পাতাল বিজয়’, ‘রাজবধূ’, ‘রঙিন সাতভাই চম্পা’, ‘ভিখারির ছেলে’, ‘মধুমালা মদনকুমার’, ‘বেদকন্যা পঙ্খিরানি’, ‘মোহনবাঁশি’, ‘রঙিন অরুণ বরুণ কিরণমালা’, ‘জেলের মেয়ে রোশনী’, ‘বনবাসে বেদের মেয়ে জোছনা’, ‘ভালোবাসার যুদ্ধ’, ‘ইজ্জতের লড়াই’, ‘স্বামীহারা সুন্দরী’ ও ‘চাচ্চু আমার চাচ্চু’ ইত্যাদি। ক্যারিয়ারে ১১০টির মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।