পাহাড়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে বিজিবি সদস্যসহ নিহত ৫

Looks like you've blocked notifications!
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা উপজেলার গাজীনগর বাজারে গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষের সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। ছবি : এনটিভি

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা উপজেলায় গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষের সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। সংঘর্ষে দুই সন্তান ও স্বামী নিহত হয়েছেন শুনে ওই পরিবারের গৃহবধূও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে জ্বালানি কাঠ পরিবহনে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলার গাজীনগরের বিজিবি চেকপোস্টের কিছুটা দূরে গাজীনগর বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে মাটিরাঙা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামছুদ্দিন ভূইয়া জানিয়েছেন।

এ ঘটনার পর জেলা প্রশাসক (ডিসি) প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, পুলিশ সুপার (এসপি) আবদুল আজিজসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে বলেছেন, তাঁরা এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় দুজনের লাশ পেয়েছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে দুজনকে আটক করা হয়েছে।

তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে দুই সন্তান, বাবা ও এক গ্রামবাসী মিলে মোট চারজন নিহত হয়েছেন। এবং এ ঘটনায় আহত আরো একজন চট্টগ্রামের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বিজিবি-৪০ ব্যাটালিয়নের সদস্য সিপাহী মো. শাওন (৩০)। এ ছাড়া গ্রামবাসী হচ্ছেন- আহমদ আলী (২৫), আলী আকবর (২৭) ও তাদের বাবা মুছা মিয়া (৫৫) এবং একই গ্রামের বাসিন্দা মফিজ মিয়া (৫০)। আর দুই সন্তান ও স্বামী নিহত হওয়ার খবর শুনে বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন গৃহবধূ ননছু বেগম (৫০)।

পুলিশ জানায়, সকালে একটি ট্রলিতে করে জ্বালানি কাঠ নিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবি সদস্যরা বাধা দেন। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে বিজিবি সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় বিজিবির গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আহমদ আলী, আলী আকবর, তাদের বাবা মুছা মিয়া। পরে চট্টগ্রামের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথে মারা যান মফিজ মিয়া। সংঘর্ষের সময় পাল্টা হামলায় নিহত হন বিজিবি সদস্য শাওন।

একদিকে, পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন বিনা উস্কানিতে বিজিবি সদস্যরা এ হামলা চালিয়েছে।

অন্যদিকে বিজিবির দাবি, ৬০ থেকে ৭০ জন নারী-পুরুষ তাদের অবরুদ্ধ করে দুটি রাইফেল ছিনিয়ে নিলে তারা গুলি চালাতে বাধ্য হয়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।