পি কে হালদারসহ ২০ জনের সম্পদ জব্দের নির্দেশ

Looks like you've blocked notifications!
পি কে হালদার। ছবি : সংগৃহীত

প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা পাচার করার ঘটনায় ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ২০ জনের সকল সম্পত্তি,ব্যাংক হিসাব জব্দ এবং পাসপোর্ট আটকের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

অন্যরা হলেন, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নুরুল আলম, পরিচালক জহিরুল আলম, নাসিম আনোয়ার,বাসুদেব ব্যানার্জী,পাপিয়া ব্যানার্জী,মোমতাজ বেগম,নওশেরুল ইসলাম, আনোয়ারুল কবির,প্রকৌশলী নুরুজ্জামান,আবুল হাসেম,এম এ হাসেম,মো. রাশেদুল হক,পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার,স্ত্রী সুষ্মিতা সাহা,ভাই প্রিতুষ কুমার হালদার, চাচাতো ভাই অমিতাব অধিকারী,অভিজিৎ অধিকারী,ব্যাংক এশিয়ার সাবেক পরিচালক ইরফান উদ্দিন আহমেদ ও পি কে হালদারের বন্ধু উজ্জ্বল কুমার নন্দী।

আজ  মঙ্গলবার বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার কবির।

ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডে বিনিয়োগকারী দুই জনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশদেন।

একই সঙ্গে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড-এর স্বাধীন পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দিয়েছেন আদালত।

বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পি কে হালদার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থেকে লোপাট করেছেন অন্তত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা।

প্রশান্ত কুমার হালদার প্রথমে রিলায়েন্স ফাইন্যান্স এবং পরে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস,এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড,বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

অভিযোগ রয়েছে,ওই সকল প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন ও নতুন আরো কিছু কাগুজে প্রতিষ্ঠান তৈরির মাধ্যমে প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচার করেছেন পি কে হালদার। নিজেও পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে।

ক্যাসিনো অভিযানের ধারাবাহিকতায় তার বিরুদ্ধে এরইমধ্যে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ বাদী হয়ে মামলা করেন। তবে মামলা করার আগেই লাপাত্তা হন পি কে হালদার।