পি কে হালদারের মামলার সর্বশেষ তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট
ভারতে গ্রেপ্তার প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জারি করা রুল শুনানির জন্য আগামী ১২ জুন দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলাগুলোর অগ্রগতি জানাতে সংস্থাটিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আজ শুনানিকালে হাইকোর্ট বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন আদেশের কারণেই পি কে হালদার আজ সারা বিশ্বে অন্যভাবে আলোচিত। অর্থপাচারকারী হিসেবে চিহ্নিত। আমরা এমন আদেশ দেব, পি কে হালদার ও অন্যান্য অর্থপাচারকারীরা পৃথিবীর কোথাও শান্তিতে থাকতে পারবে না।’
এ সময় আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা শুধু নির্দিষ্ট করে দিন, অর্থপাচারকারীরা কোথায় আছেন, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আদেশ দেব।’
পরে আদালত পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার ও দেশে ফিরিয়ে আনতে জারি করা রুল শুনানির জন্য আগামী ১২ জুন দিন ঠিক করেন। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে পি হালদারের বিরুদ্ধে থাকা সব মামলার তথ্য জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গতকাল ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক পি কে হালদার ভারতে গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি আদালতকে জানান। একইসঙ্গে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পূর্বে জারি করা রুল শুনানির আবেদন জানান।
২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকের ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে রুল জারি করে আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রুলে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার ও দেশে ফিরিয়ে আনতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং এক্ষেত্রে দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।