পুরোপুরি সুস্থ নন খালেদা জিয়া, সন্ধ্যায় ফিরবেন বাসায়

Looks like you've blocked notifications!
চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার ফাইল ফটো।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পুরোপুরি সুস্থ নন। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে, দেশে হঠাৎ করোনাভাইরাস ফের বাড়তে থাকায় মেডিকেল বোর্ড তাঁকে বাসায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আজ শুক্রবার এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. শাহাবুদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।

ডা. শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আজ বিকেল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে তাঁকে (খালেদা জিয়া) বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে। আগের মতো বাসায় রেখেই চিকিৎসার মনিটরিং করা হবে।’

শাহাবুদ্দিন আরও বলেন, ‘আমরা উনাকে সুস্থ রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তারপরও বলব, সার্বিক দিক বিবেচনায় উনি যে ধরনের রোগে আক্রান্ত, তার চিকিৎসায় সব বিষয়ের সক্ষমতা দেশে নেই। উনাকে পরিপূর্ণ সুস্থ করে তুলতে বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন।’ তিনি আরও বলেন, ‘উনার জীবন এখনো ঝুঁকিমুক্ত নয়।’

হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত ১০ জুন রাত ৩টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়। পরদিন শনিবার সকালে তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড বৈঠক করে জরুরিভিত্তিতে এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে দুপুরে অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে এনজিওগ্রাম করা হলে ব্লক ধরা পড়ায় সেখানে রিং বসানো হয়। এরপর আরও দুটি ব্লক ধরা পড়ে তাঁর।

১৪ জুন এক প্রশ্নে জবাবে ‘বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হার্টে বাকি দুটি ব্লকে রিং পরানোর মতো শারীরিক অবস্থা নেই’ বলে জানান তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক মোহাম্মদ মামুন। সেদিন তিনি বলেন, ‘এখনো বেগম খালেদা জিয়ার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়নি।’

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে।

গতবছর এপ্রিলে খালেদা নিজেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। এরপর পাঁচ দফা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

এর মধ্যে ২০২১ সালে একবার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান চিকিৎসকরা।