‘পুলিশের আত্মত্যাগ শুধু দায়িত্ব পালনেই নয়, দেশপ্রেমটাই বড়’

Looks like you've blocked notifications!
ময়মনসিংহে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে ২০২০’ উপলক্ষে নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের হাতে উপহার সমাগ্রি তুলে দেন পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ময়মনসিংহ রেঞ্জ)। ছবি : এনটিভি

ময়মনসিংহ রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ বলেছেন, ‘২৫ মার্চ কাল রাতে ঔপনিবেশিক শাসনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রথম গুলিটি করেছিল বাংলাদেশ পুলিশ। দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে পুলিশ নিজের জীবন দিয়ে দেশ মাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিবেদিত। পুলিশের আত্মত্যাগ শুধু দায়িত্ব পালনেই সীমাবদ্ধ ছিল না, দেশপ্রেমটাই সব আত্মত্যাগে মুখ্য ছিল।’

আজ রোববার ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে ২০২০’ উপলক্ষে কর্তব্যপালনরত অবস্থায় ময়মনসিংহ অঞ্চলের নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি, সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক এসব কথা বলেন।

এর আগে সকাল ১০টায় ‘চেতনায় অম্লান’ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয় ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ, র‍্যাবসহ বিভিন্ন ইউনিট। এ সময় তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় ও তাদের সম্মানে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পরে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত হওয়া জেলার ৬৫ জন দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্যের পরিবারকে স্বীকৃতি স্মারক ও উপহার তুলে দেওয়া হয়।

ডিআইজি বলেন, ‘কর্তব্য পালনকালে জীবন উৎসর্গ করে পুলিশ সদস্যরা ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। তাদের আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দশনা মোতাবেক দেশকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকমুক্ত করতে পুলিশের সদস্যরা সর্বদাই বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) নিরঞ্জন দেবনাথ, অতিরিক্ত ডিআইজি ড. মো. আক্কাছ উদ্দিন ভূঁঞা, জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান, র‍্যাব ১৪-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ এফতেখার উদ্দিন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন-২) অধিনায়ক মো. নজরুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান, সিআইডি ময়মনসিংহ জোনের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. মামুনুল আনসারী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আনোয়ার হোসেন, আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র ভৌমিকসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা।