পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপির ২৯ নেতাকর্মী রিমান্ডে

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল শনিবার বিক্ষোভ সমাবেশের শেষের দিকে বিএনপির নেতাকর্মীদের আটক করে পুলিশ। ফাইল ছবি

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল শনিবার বিক্ষোভ সমাবেশের শেষের দিকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২৯ জনের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এই আদেশ দেন। একই ঘটনায় রমনা ও শাহবাগ থানার দুটি মামলায় ২৯ জনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।  

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) নিজাম উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ শুনানির আগে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে শাহবাগ থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম হোসেন খান ১৬ আসামির ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। অপরদিকে রমনা থানার মামলায় এসআই সহিদুল ওসমান মাসুম ১৩ আসামির সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেক আসামির দুই দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন— শরিফ উদ্দিন ওরফে জুয়েল, ওবায়দুল্লাহ নাঈম, নাদিম হোসেন, আব্দুর রশিদ, হোসেন মিয়া, আলামিন মোল্লা, মিল্টন শেখ, সানোয়ার, জহির, রুবেল, এবাদুল, হামিদুল ইসলাম, মহসিন। এই ১৩ জন রমনা থানার মামলার আসামি।  

আর শাহবাগ থানার মামলায় রিমান্ডপ্রাপ্ত ১৬ জন হলেন- জাকির হোসেন, পারভেজ রেজা, খন্দকার মুজাহিদুল ইসলাম, সওগাতুল ইসলাম, মিনহাজুল হক নয়ন, শওকত উল ইসলাম, সজীব, শামীম রেজা, শাওন জমাদ্দার, ইমন শেখ, নজরুল ইসলাম, সাজ্জাদ, রহমান রানা, মোস্তফা, মাহমুদুল হাসান ওরফে মাকসুদুল হাসান ও পলাশ মিয়া।

জানা যায়, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘বীর উত্তম’ বাতিলের উদ্যোগের প্রতিবাদে গতকাল শনিবার বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি খন্দকার মোশাররফের বক্তব্য চলাকালে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। পরিস্থিতি সামলাতে দলটির নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিপেটা করে পুলিশ। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।