পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যার অভিযোগে বড় ভাইসহ গ্রেপ্তার ২
ময়মনসিংহে মাদকাসক্ত ছোট ভাই পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগে বড় ভাইসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। আজ সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুল ইসলাম ফকির।
কনস্টবল সাদ্দাম হোসেনের গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যায় জড়িত আরেকজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গ্রেপ্তার করা আসামিরা হলেন নিহত পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেনের বড় ভাই হাবিবুল করিম তপু (৪০) এবং তাঁর বন্ধু মো. আনোয়ারুল ইসলাম (৩৩)। আজ ভোরে ঢাকা থেকে বড় ভাই হাবিবুল করিম অপু এবং মুক্তাগাছা থেকে আনোয়ারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গত ২৪ জানুয়ারি থেকে সাদ্দাম সুনামগঞ্জ জেলার কর্মস্থল থেকে গড়হাজির ছিলেন। গড় হাজির থাকার কারণে তাঁকে এর আগে বেশ কয়েকটি লঘু ও গুরুদণ্ড দেওয়া হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টাকার জন্য সাদ্দাম তার মা-বাবাকে লাঞ্ছিত করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বড় ভাইসহ গ্রেপ্তার হওয়া আনোয়ারুল ও পলাতক এক আসামি মিলে তাঁকে আবুল হোসেনের মেহগনি বাগানে ডেকে নেন সাদ্দামকে। রাত ১১টার দিকে মা-বাবাকে লাঞ্ছিত করা, অতিরিক্ত নেশা এবং কর্মস্থলে না ফেরা নিয়ে বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এর একপর্যায়ে বড় ভাইয়ের পকেটে থাকা রশি দিয়ে গলা পেঁচিয়ে তাঁকে হত্যা করে গাছের সঙ্গে মরদেহ ঝুলিয়ে চলে যান আসামিরা। ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মেহগনি বাগানে গাছে ঝুলানো সাদ্দামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা করেন নিহত সাদ্দোমের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার (২২)।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, মাদকের টাকা জোগাড় করতে মোবাইল ও বাইক বন্ধকের মতো ঘটনাও ঘটিয়েছেন সাদ্দাম। তিনি একজন পুলিশ সদস্য। কারো একার অপরাধের দায় ডিপার্টমেন্ট নেয় না। তাই তাঁকে একাধিকবার লঘু ও গুরু দণ্ড দেওয়া হয়।