‘পূজার দিনে নির্বাচন আমাদেরকেও বিব্রত করেছে’

Looks like you've blocked notifications!
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রলীগের উদ্দেশে বক্তব্য দেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান। ছবি : এনটিভি

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেছেন, ‘পূজার দিনে নির্বাচন আমাদেরকেও বিব্রত করেছে এবং যেসব ছাত্ররা ভোটের তারিখ বদলের দাবি করছে তাদের সাথেও সহমত পোষণ করি।’

আজ শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগে কেন্দ্রীয় কার্য়ালয়ে ছাত্রলীগের ‘লিডারশীপ ওরিয়েন্টেশন’ কার্যক্রমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আবদুর রহমান।

ভোটের তারিখ প্রসঙ্গে আবদুর রহমান বলেন, ‘আসলেই তারিখের গোলমাল হয়েছে পঞ্জিকা দেখে। এই তারিখটি সেভাবে নির্ধারণ করা হয়। আর নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব একটা এখতিয়ার আছে নির্বাচনের তারিখ ঠিক করার। সেই জায়গায়টায় একটু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। এইটুকু না হলে ভালো হতো। তারপরও ছাত্র বন্ধুরা যেহেতু অত্যন্ত সহনশীলতার সঙ্গে অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে যৌক্তিকভাবেই বিচারালয়ের শরনাপন্ন হয়েছে এবং আদালতে গিয়েছে; আদালত একটা রায় দিয়েছে। সেই রায়টি তাদের জন্য সন্তোষজনক হয়নি। শুনেছি তারা উচ্চতর আদালতে যাবে। সুতরাং আদালতের রায় পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। বিষয়টি যখন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে সুতরাং আদালতের রায় পর্যন্ত তাদের ধৈর্য ধরা উচিত। আমার মনে হয়, আদালতকে তাঁর সুবিবেচনা প্রসূত যে রায় ঘোষনা করবে তার প্রতি আমরা সকলেই শ্রদ্ধাশীল থাকব।’

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ফোন

অনুষ্ঠান চলার সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমানের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আবদুর রহমান মোবাইলের লাউড স্পিকার অন করে দেন। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশে কথা বলেন।

ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে বলেছেন, ছাত্রলীগকে সঠিক পথে চলতে হবে। নিয়মিত লেখাপড়া করতে হবে। সুন্দর আচরণ করতে হবে। ভালোবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কোনভাবেই যেন কোনো অপকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়। ছাত্রলীগকে সুশিক্ষা ও মেধার আলোয় আলোকিত হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতা ছাত্রলীগকেকে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন, তা যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, সেদিকে সবাইকে সব খেয়াল রাখতে হবে। এ সময় তিনি ছাত্রলীগ নেতাদের কে বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইটি পড়ার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যত বই বের হবে সবগুলি ভালোভাবে পড়ার পরামর্শ দেন তিনি। পাশাপাশি মুজিব বর্ষ উদযাপনের বিষয়েও ছাত্রলীগকে নির্দেশনা দেন। এ সময় ছাত্রলীগ গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও জাতির পিতার অনুপস্থিতিতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রলীগকে কীভাবে পরিচালনা করেছেন তা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের সঠিক ইতিহাস জানার পাশাপাশি মানুষের কাছে ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরতে সংগঠনের নেতাকর্মীদের কে পরামর্শ দেন।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।