পূজা দেখে ফেরার পথে তরুণীকে ধর্ষণ, শ্রমিক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৫
বাগেরহাটে পূজা দেখে বাড়ি ফেরার পথে এক পোশাককর্মীকে (২২) ধর্ষণের মামলায় শ্রমিক লীগ নেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে সন্ধ্যায় আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিক লীগ নেতার নাম শেখ মিজানুর রহমান (৩৫)। তিনি সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং একই ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য চার আসামি হলেন সদর উপজেলার চিন্তিরখোড় গ্রামের বিকাশ মৃধা (১৯), সুকান্ত সরকার (৩২), বিধান বিশ্বাস (২৮) ও মো. সোহেল ফকির (২৩)।
গ্রেপ্তারকৃতদের আজ সন্ধ্যায় আদালতে পাঠালে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবীর পারভেজ তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাগেরহাট মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শফিকুর রহমান জানান, গতকাল সোমবার বিকেল থেকে বন্ধুদের সঙ্গে বিভিন্ন মণ্ডপে পূজা দেখে যাত্রাপুর বাজারে থেকে রাতে ভ্যানে করে বাড়ি রওনা দেন ওই পোশাককর্মী। রাত ১০টার দিকে বাকপুরা মোড়ে পৌঁছালে শ্রমিক লীগ নেতা শেখ মিজানুর রহমান ভ্যান থেকে তাঁকে নামতে বাধ্য করেন। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাকপুরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নতুন ভবনের পেছনে নিয়ে ধর্ষণ করেন। রাত পৌনে ১২টার দিকে ওই তরুণীকে চিন্তিরখোড় এলাকায় রেখে চলে যান মিজান। মেয়েটি একা একা রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন। এ সময় আসামি বিকাশ, সুকান্ত, বিধান, মো. সোহেলসহ কয়েকজন হদেরহাট বাজারের পাশে নিয়ে মেয়েটির শ্লীলতাহানি করেন।
এরপর পোশাককর্মী সোমবার রাতেই সদর মডেল থানায় শ্রমিক লীগ নেতা শেখ মিজানুর রহমানসহ আটজনের নামে মামলা করেন। শেখ মিজানুর রহমানসহ পাঁচজনকে আজ বিকেলে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পোশাকশ্রমিকের মা-বাবা জানান, এক বছর আগে আর্থিক কষ্টের কারণে মেয়েকে পোশাক কারখানায় কাজ করতে ঢাকায় পাঠান। পূজার ছুটিতে মেয়েটি বাড়িতে আসে। বন্ধুদের সঙ্গে গতকাল সোমবার রাতে পূজা দেখতে যাওয়াই কাল হলো তাঁর। তাঁরা তাঁর মেয়ের ওপর নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার চান।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় জানান, মামলার পর তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে মিজানুর রহমানকে এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগে আরো চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাঁদের আদালতে পাঠানো হলে বিচারক জেলাহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।