পেগাসাস দিয়ে নজরদারি ঠেকাতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চান হাইকোর্ট

Looks like you've blocked notifications!
হাইকোর্টের ফাইল ছবি

পেগাসাস স্পাইওয়্যার দিয়ে সাংবাদিক, রাজনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ওপর গোপন নজরদারি ঠেকাতে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সিকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রোববার আদেশ দেন।

চার সপ্তাহের মধ্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির পরিচালক ও ন্যাশনাল কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের পরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গোপন নজরদারি ঠেকাতে সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিটটি করেন। তাঁরা হলেন—মুজাহিদুল ইসলাম, আব্দুল আলীম, সৈয়দ মোহাম্মদ রায়হান উদ্দিন ও মো. মনিরুজ্জামান।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিকী, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সাবিত আহমেদ খান ও মাহমুদ আল মামুন হিমু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।

মাহমুদ আল মামুন হিমু বলেন, ‘ইসরায়েলের তৈরি স্পাইওয়্যার কিনে তা দিয়ে বিভিন্ন দেশে সাংবাদিক, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, অধিকারকর্মী এবং আরও অনেকের ওপর গোপন নজরদারি চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন।’

রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়, পেগাসাস হলো ইসরায়েলি সাইবার আর্মস সংস্থার (এনএসও) তৈরি একটি স্পাইওয়্যার। এটিকে মোবাইল ফোনের আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েডের নতুন সংস্করণে গোপনে ইনস্টল করানো হয়েছে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিদেশে চলে যাচ্ছে। ব্যক্তির মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।