প্রতারণার অভিযোগ : ই-অরেঞ্জের সিওও রাসেল কারাগারে

Looks like you've blocked notifications!

প্রায় এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের সাবেক চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) নাজমুল আলম রাসেলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনূর রহমান এই আদেশ দেন।

চার দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজ আসামি রাসেলকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মোহাম্মদ আলমগীর এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২৯ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর ছিদ্দিক আসামি রাসেলকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠান।

নথি থেকে জানা গেছে, গত ১৬ আগস্ট ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করেন তাহেরুল ইসলাম নামের এক ভুক্তভোগী। মামলায় তিনি ই-অরেঞ্জের পাঁচ কর্মকর্তাসহ সব মালিককে আসামি করেন।

বাদী এজাহারে বলেন, গত ২৮ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনার জন্য টাকা দেওয়া হয়, যা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পর ই-অরেঞ্জ কোম্পানির ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল। এরপর থেকে বারবার নোটিশের নামে ভুক্তভোগীদের পণ্য ডেলিভারি না করে প্রতারণা করছে ই-অরেঞ্জ।

‘ভুক্তভোগীরা ই-অরেঞ্জের অফিসে গিয়ে ডেলিভারি দেওয়ার কথা বললে অফিসের কর্মকর্তারা ও মালিকপক্ষ জানান, কিছুদিনের মধ্যে পণ্যগুলো ডেলিভারি হবে। কিন্তু পণ্য ডেলিভারি না করে প্রায় এক লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় এক হাজার ১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে।’

বাদী আরও বলেন, করোনাকালে ভুক্তভোগীদের কষ্টার্জিত অর্থের নিশ্চয়তা না দিয়ে ই-অরেঞ্জ তাদের মালিকানা পরিবর্তনের নামে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে। নতুন মালিক ও পুরোনো মালিকের কোনো তথ্য ভুক্তভোগীদের সামনে প্রকাশ করা হচ্ছে না। এ ছাড়া আসামিরা সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছেন।

একই মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান ও চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্যাহকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ।