প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা, ১০ মাস পর নিরাপত্তাকর্মী গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
গাজীপুরে ধর্ষণের পর নদীতে ফেলে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত নিরাপত্তাকর্মী রুবেল হোসেন। ছবি : এনটিভি

গাজীপুরে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর নদীতে ফেলে খুন করে একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মীসহ কয়েক যুবক। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই নিরাপত্তাকর্মীকে সোমবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

প্রতিবন্ধী তরুণী খুনের প্রায় ১০ মাস পর রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বিকেলে গাজীপুরে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তারকৃত নিরাপত্তাকর্মীর নাম মো. রুবেল হোসেন (২১)। তার বাড়ি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নরুণ মধ্যপাড়ায়। তিনি ইউনিলিভার কারখানার নিরাপত্তাকর্মী।

পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার জানান, গত বছরের ২৩ জুন সকাল ৭টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার মানসিক প্রতিবন্ধী তাহমিনা (২৫) বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এর দুইদিন পর ২৫ জুন পাশের বালু নদের নগরবেলা বাহুরঘাট এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি তাহমিনার বলে শনাক্ত করেন তাঁর বড় বোন জাহানারা।

ময়নাতদন্ত রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ভিকটিমকে ধর্ষণের পর পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। পরবর্তী সময়ে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস এ মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় গাজীপুরের পিবিআইকে। প্রায় ১০ মাস পর ঘটনার সঙ্গে জড়িত রুবেল হোসেনকে সোমবার ভোরে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। তিনি ইউনিলিভার কারখানার স্থানীয় গুদামের নিরাপত্তাকর্মী। জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার প্রায় ১০ মাস পর চাঞ্চল্যকর তাহমিনা হত্যার রহস্য উন্মোচন হলো আজ।

গ্রেপ্তারকৃত রুবেল জানান, ঘটনার দিন সকালে বাড়ির পাশের গুদামে চাকরির খোঁজে আসেন তাহমিনা। এ সময় চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাহমিনাকে গুদাম সংলগ্ন মেসে নিয়ে যান তিনি। সেখানে রুবেল ও তার অপর তিনজন সহযোগী তাহমিনাকে ধর্ষণ করেন। পরে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে তাঁকে উলুখোলা ব্রিজে নিয়ে যান। সেখানে আসামিরা ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে ব্রিজের রেলিংয়ের ওপর দিয়ে উঁচু করে বালু নদে ফেলে হত্যা করেন।