প্রথমদিকেই করোনার টিকা পাওয়ার আশা মন্ত্রিসভার

Looks like you've blocked notifications!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ রোববার মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : ফোকাস বাংলা

করোনাভাইরাসের টিকা পেতে সরকারি-বেসরকারিভাবে প্রচেষ্টা জারি আছে উল্লেখ করে প্রথমদিকেই টিকা পাওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। আজ রোববার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে এই ভার্চুয়াল সভায় যোগ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কোভিড-১৯ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভ্যাকসিন (টিকা) সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এটা পর্যালোচনা করা হয়েছে। যাতে দ্রুত আমরা ভ্যাকসিন পেতে পারি সে বিষয়ে সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টা জারি আছে। আশা করি, প্রথমদিকেই ভ্যাকসিন পাব।’

ভ্যাকসিনের বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে এ বিষয়ে প্রচেষ্টা বিরাজমান আছে। আমরা চীনকে পারমিশন দিয়ে রেখেছি। তাদের ফান্ডিংয়ে শর্টেজ আছে, সেজন্য সেটা নিয়ে আলোচনা করছি আমরা। তারা হয়তো অ্যাপ্রোচ করবে যে বাংলাদেশ থেকে কিছু ফান্ডিং করা যায় কি না। তবে এটি বাদ যায়নি।’

সম্প্রতি অক্সফোর্ডের দুই কোটি টিকা এই মাসে আসছে বলে স্বাস্থ্য সচিবের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি ডেট বলতে পারছি না। তবে খুব ভালোভাবেই সেটা আগাচ্ছে।’

শীতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিষয়ে প্রস্তুতি জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এখন কোনো সমস্যা হবে না। একটি ট্রিটমেন্ট প্রটোকল আছে। আমাদের কিন্তু প্যানিকটা চলে গেছে। শুরুতে বিষয়টা বোঝা যাচ্ছিলে না। কিন্তু এখন ট্রিটমেন্ট করতে করতে অনেক অভ্যস্ত হয়ে গেছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালগুলোর জন্য নির্দেশনা আছে কোভিড এবং নন কোভিড আলাদা করে করার জন্য। সব হাসপাতালেই এখন আলাদা ইউনিট হয়ে গেছে, কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’

আনোয়ারুল ইসলাম জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০২০-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। কয়েকদিন আগে এর একটি অর্ডিন্যান্স করা হয়েছে। যেহেতু তখন পার্লামেন্ট ছিল না সেজন্য এটা তখন অর্ডিন্যান্স হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেটিই আইনের ড্রাফট হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে চূড়ান্ত ভেটিং করে দেওয়া হয়েছে। সংসদ না থাকা অবস্থায় কোনো অর্ডিনেন্স হলে সংসদ শুরু হলে সেটি উপস্থাপন করতে হয়। সেই ড্রাফটাই আজ নিয়ে আসা হয়েছে। অর্ডিন্যান্সকে আইনে রূপান্তর করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর এই অর্ডিন্যান্স চলাকালে যে কাজগুলো হয়েছে সেগুলো হেফাজত করা হয়েছে।