প্রধানমন্ত্রীর কথায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করছে ইসি : রিজভী

Looks like you've blocked notifications!
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি : এনটিভি

রাজনৈতিক দলের মতামত না নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কথায় নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দলের প্রয়াত সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খানের রুহের মাগফিরাত কামনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করার প্রতীক উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তো একটি স্বাধীন সত্তা। এখানে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল এক একটি শেয়ার হোল্ডার।’

রিজভী বলেন, ‘এ দেশের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য যে প্রতিষ্ঠান সেই পদ্ধতিগুলো আপনি পরিবর্তন করছেন শেখ হাসিনা কথায়। এখানে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের মতামত নিচ্ছেন না, কারণ আপনারা তো সরকারি চাকরি করেন। আপনার তো নিজেরাই নিজেদের স্বাধীন সত্তা বিলোপ করে চাকর হয়েছেন সরকারের। এখন নির্বাচন কমিশনের কোনো কাজ নাই। উনি ইউনিয়ন পরিষদকে পল্লী পরিষদ করবেন, উপজেলা চেয়ারম্যানকে উপজেলার পিতা করবেন, সেই কাজে হাত দিয়েছেন। যে ঐতিহ্য সংস্কৃতি রয়েছে, সেটাকে ভাঙছেন।’

করোনা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে করোনায় আক্রান্ত সংখ্যা দুই কোটি ছাড়িয়ে গেছে। গোটা বাংলাদেশে আমরা একটি মরণ যজ্ঞের মধ্যে আছি। আমি কয়েকদিন আগে কয়েকটি জেলা সফর করলাম। সেখানে অসুস্থতায় মারা যাওয়া কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেছি। তারা বলেছেন এসব রোগীর হার্টের রোগ ও অন্যান্য রোগ ছিল বটে, তবে তাঁরা করোনায় মারা গেছেন। যে কয়টি বাসায় গিয়েছি, করোনায় আক্রান্ত ছাড়া কেউ মারা যায়নি।’

আজ গোটা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সরকার ভেঙে দিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘মফস্বলের হাসপাতালগুলোতে কোনো চিকিৎসা নাই। সেখানে হাসপাতালগুলোতে যাওয়া মানে মৃত্যুর সার্টিফিকেট নিশ্চিত পকেটে নিয়ে যাওয়া। এর বাইরে অন্যকিছু নেই।’

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের সঞ্চলনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহসাংগঠনিক শহিদুল ইসলাম বাবুল, সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান প্রমুখ।

আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি কাজী রওনুকুল ইসলাম শ্রাবণ, মাজেদুল ইসলাম রুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সহসভাপতি হাফিজুর রহমান, আশরাফুল আলম ফকির লিংকন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, যুগ্ম আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন নাছির, ছাত্রদল মহানগর পূর্ব সভাপতি খন্দকার এনামুল হক, মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন রুবেল প্রমুখ।