প্রবাসীর স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ, গ্রেপ্তার ৩

Looks like you've blocked notifications!
কুষ্টিয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত সোহাগ ও শাকিল। ছবি : এনটিভি

কুষ্টিয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণের অভিযোগে দুই যুবক ও বাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার রাতে শহরের ঈদগাহপাড়া থেকে স্যার ইকবাল রোডের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম সোহাগ (২০) এবং আড়ুয়াপাড়া এলাকার আবদুল জব্বার সড়কের বাসিন্দা শাকিল আহমেদকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়।

এছাড়া আজ শুক্রবার দুপুরে একই অভিযোগে ওই বাড়ির মালিক মাছুম আলীকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী নারীর স্বজনরা জানায়, ওই নারী চার বছরের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বড় ছেলেকে প্রতিদিনের মতো কোচিং সেন্টারে নিয়ে যান। গত বুধবার বিকেলে ছেলেকে কোচিংয়ে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় আগে থেকে পরিচিত এক নারী তাঁকে গল্প করার কথা বলে শহরের একটি বাসায় নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর ওই নারীর মুঠোফোনে ফোন এলে তিনি বাইরে থেকে দরজা আটকে চলে যান। এ সময় পাশের কক্ষে অবস্থান করা দুই যুবক ওই নারী ও তাঁর চার বছরের শিশুপুত্রকে মারধর করেন এবং ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। পরে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে দেড় লাখ টাকাও দাবি করেন। এই ভিডিও ওই গৃহবধূর আত্মীয়স্বজনের মুঠোফোনে মেসেজের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলে হুমকি দিতে থাকেন যুবকরা। গৃহবধূ তাঁদের হাত-পা ধরে বারবার মাফ চান। টাকা দেওয়ার শর্তে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাড়িতে ফিরে ওই গৃহবধূ বিষয়টি তাঁর স্বজনদের জানান। এ সময় ওই গৃহবধূর মুঠোফোনে কল করে ওই যুবকেরা ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে বলেন। গৃহবধূর এ কথোপকথন নিজের মুঠোফোনে রেকর্ড করে রাখেন। পরে কুষ্টিয়া মডেল থানা-পুলিশ ও র‌্যাবকে বিষয়টি জানান তিনি। পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই যুবকদের অবস্থান নিশ্চিত করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঈদগাহ পাড়ার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেন।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির জানান, এক নারীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে গতকাল বিকেলে দুই যুবককে এবং আজ দুপুরে বাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের আদালতে সোপর্দ করে পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা করেছেন। আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।