প্রবাসীর স্ত্রীর ছবি সম্পাদনা করে হুমকি, দুজন গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি সম্পাদনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ মো. রাসেল মিয়া (২৭) ও বাঁধন মিয়া (২০) নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। 

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। 

মামলা ও গৃহবধূর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের দেড় মাস পরই স্ত্রীকে রেখে ওই গৃহবধূর স্বামী মালয়েশিয়ায় চলে যান। সরাইল উপজেলা সদরে আসামি রুমেল মিয়াদের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ওই গৃহবধূ। প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে প্রায়ই মোবাইল ফোনে অডিও ও ভিডিওকলে কথা বলতেন তিনি। স্বামীর ইচ্ছেয় বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগত ছবিও পাঠাতেন। তাঁর বিকাশ নম্বরে স্বামী টাকা পাঠাতেন। সেই টাকা নিজেই ক্যাশআউট করতেন।

কয়েক মাস আগে ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁর ব্যবহৃত স্মার্টফোনটি রুমেলের হাতে দিয়ে বিকাশের টাকা ক্যাশআউট করেন। এভাবে বেশ কয়েকবার রুমেলের সহায়তায় ক্যাশআউট করেন তিনি। সুযোগে বুঝে রুমেল মুঠোফোন থেকে গৃহবধূর ব্যক্তিগত ছবি গুলো রেখে দেন।

আনুমানিক পাঁচ-ছয় মাস আগে রুমেলসহ স্থানীয় যুবক রাসেল, বাঁধন, আশিকসহ আরো কয়েকজন ওই গৃহবধূকে ফোন করে ছবিগুলো নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করেন। ওই ছবিগুলো সম্পাদনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দেন তাঁরা। সম্মান রক্ষার্থে ওই নারীর স্বামী অভিযুক্তদের সঙ্গে সমঝোতা করে তাদের ৫০ হাজার টাকা দেন।

এর পরও ওই যুবকরা গৃহবধূকে ফোন করে কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলেন এবং আরো টাকা না দিলে ওই ছবিগুলো ফেসবুকে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেন। একপর্যায়ে আশিক মিয়া গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেন। সম্প্রতি তারা গৃহবধূর মোবাইল ফোন থেকে নেওয়া ব্যক্তিগত ছবিগুলো সম্পাদনা করে রুমেলের ছবির সঙ্গে যুক্ত করে ফেসবুকে ছেড়ে দেন।

একপর্যায়ে ওই গৃহবধূ স্বামীর বাড়ি থেকে জেলা শহরে বাবার বাড়িতে চলে যান। গতকাল ওই গৃহবধূ তাঁর স্বামীর বাড়ি এলে রুমেল মিয়া তাঁকে গালাগালি করেন এবং আরো টাকা না দিলে ছবিগুলো দ্রুত ভাইরাল করার হুমকি দেন।

এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এম এম নাজমুল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আসামিরা ব্ল্যাকমেইল করে ওই নারীর পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’