প্রভোস্টকে লাঞ্ছিত : ভিপি নুরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৬ এপ্রিল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের প্রভোস্টকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনছারী এ আদেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) নিজাম উদ্দিন বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু প্রতিবেদন দাখিল না করায় বিচারক আগামী ২৬ এপ্রিল দিন নির্ধারণ করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত বছরের ১১ মার্চ শাহবাগ থানায় ঢাবির নৃত্যকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মারজুকা রায়না ডাকসুর ভিপি নুরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাত পরিচয় আরো ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়।
এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১১ মার্চ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের দিন সকালে মামলার বাদী মারজুকা রায়না রোকেয়া হলে ভোট দিতে লাইনে দাঁড়ান। এর মধ্যে হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বানচালের চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা। তাঁরা গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে গুজব ছড়ান, ট্রাঙ্কভর্তি সিলমারা ব্যালট পেপার হলের ভেতরে রয়েছে। পাশাপাশি তাঁরা শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার জন্য উসকে দেন।
এজাহারে আরো বলা হয়, একপর্যায়ে হল প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, 'বাস্তবে তেমন কিছুই ঘটেনি। সংরক্ষিত ব্যালট পেপারগুলো সাদা।' কিন্তু অভিযুক্তরা প্রভোস্টের কথা না শুনে তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং শিক্ষার্থীদের গালাগাল করেন। এ সময় তাঁরা রোকেয়া হল সংসদের দরজা-জানালা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। পরে তাঁরা সংসদের ভেতর অনধিকার প্রবেশ করে একটি ট্রাঙ্ক বের করে আনেন। সেটি খুলে দেখা যায়, সব ব্যালট পেপারই সাদা। কোনোটিতে সিল মারা নেই।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন—ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর, নির্বাচনে ভিপি পদে প্রার্থী এবং ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখার সভাপতি লিটন নন্দী, জিএস প্রার্থী ঢাবির জহুরুল হক হল ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আনিসুর রহমান, জিএস প্রার্থী ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার সভাপতি উম্মে হাবীবা বেনজীর ও রোকেয়া হল সংসদের স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী শেখ মৌসুমী।