ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্য নাইমুর রহমান দুর্জয়ের জামিন নাকচ করেছেন আদালত।

গতকাল বুধবার (২৯ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন এই আদেশ দেন। এদিন আসামি দুর্জয়ের পক্ষে তাঁর আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নাকচের আদেশ দেন।

নথি থেকে জানা গেছে, গত ২৭ মার্চ নাইমুর রহমান দুর্জয় ও সাকিব ফেরদৌসকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) রাশেদুল আলম আসামিদের কারাারে প্রেরণের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তারা দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

এজাহারে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জোবায়েরকে হত্যার উদ্দেশ্যে স্টাম্প, রড, বেল্ট ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে আসামিরা। এতে মাথা ও চোখে গুরুতর জখম হয় এবং ডান পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়। মারধরের সময় জোবায়েরের বন্ধুরা তাকে রক্ষা করতে গেলে তাদেরও এলোপাতাড়ি পেটায় তারা। প্রাণনাশের হুমকিসহ ভয়ভীতি দেখানো হয়। মারধরে জোবায়ের চেতনা হারিয়ে ফেললে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

পরে জোবায়েরকে তার বন্ধুরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ ঘটনায় গত রোববার শাহবাগ থানায় ২০ ছাত্রের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ছাত্র জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনের মা সাদিয়া আফরোজ খান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।