প্রস্তাবিত বাজেট রাঘব বোয়ালদের জন্য : ডা. জাফরুল্লাহ

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল মিলনায়তনে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনা সভায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ছবি : এনটিভি

জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সুস্পষ্ট তদবির ও রাঘব বোয়ালদের জন্য বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল মিলনায়তনে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

‘একজন নাগরিকের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ বাজেটের তদবির ও গতানুগতিকতা’ বাজেট নিয়ে ভাবনা উপস্থাপন করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

মূল আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশেদ আল তিতুমীর। আলোচক ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন গণস্বাস্থ্যের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।

লিখিত বক্তব্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটের সবচেয়ে দুর্বল দিক হচ্ছে শ্রম ও কর্মসংস্থান, শিল্প, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং আইন মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন বরাদ্দ কমানো। পরিসংখ্যান ও তথ্য মূল্যায়ন বিভাগের উন্নয়ন বিভাগের উন্নয়ন কাজের ৮০ শতাংশ কেটে রাখা হয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যা থাকাবস্থায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন কমানো মারাত্মক ভুল। বিচার বিভাগের উন্নয়ন খাতে ব্যয় বরাদ্দ কমানো হয়েছে। বেসরকারি শিক্ষা ও সেবা প্রতিষ্ঠান আয়কর ও বিবিধ শুল্ক বৃদ্ধি, ছোট হাসপাতালের আমদানিকৃত যন্ত্রপাতির ওপর অত্যাধিক শুল্ক রয়েছে অথচ স্কয়ার, ল্যাবএইড, ইউনাটেড, এভারকেয়ার হাসপাতালের ওপর এই শুল্ক প্রযোজ্য নয়। এরা মাত্র ১ শতাংশ শুল্ক দিয়ে এ সকল যন্ত্র আমদানি করে। এই জাতীয় নিয়মাবলী সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক।

তিনি বলেন, বিশেষ করে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক অবস্থানের জন্য পর্যাপ্ত প্রণোদনা দিন। অতিরিক্ত বরাদ্দের উৎসের মধ্যে বিদেশে কর্মসংস্থান, দেশে-বিদেশি ছাত্রদের অধ্যয়ন, মদ, তামাক ও প্রসাধনীর ওপর শতগুণ শুল্ক বৃদ্ধি করা যেতে পারে। গ্রামে কর্মরত ডাক্তারদের প্রণোদনা ব্যবস্থা যেমন- উচ্চশিক্ষার বিশেষ সুযোগ, শিক্ষাভাতা প্রদান, যাতায়াত ভাড়া, বিশেষজ্ঞ ভাতা ইত্যাদি।

তিনি বলেন, রপ্তানি আয়ে অগ্রিম আয়কর বৃদ্ধি এবং বেসরকারি শিক্ষা ও সেবা প্রতিষ্ঠানে আয়কর প্রয়োগে ভুল সিদ্ধান্ত। একাধিক শুল্ক স্তর হয়রানির দ্বার, ছয় স্তরের পরিবর্তে তিন স্তর বিশিষ্ট আমদানি ১, ১০ ও ২৫ শতাংশ শুল্ক করলে দুর্নীতি ও জনগণের হয়রানি কমবে। সরকারের রাজস্ব বাড়বে।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমাদের হাতে ক্ষমতা রাখতে হবে। প্রশাসনের অপ্রয়োজনীয় জনবল কাটতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনের বিকাশ ঘটাতে হবে। তা না হলে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হবে না। আগামীতে বাজেট ঘোষণার আগে আমরা আলোচনা শুরু করবো। বাজেটে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো দিকনির্দেশনা নেই। এবার রাজনৈতিক আন্দোলন করা ছাড়া বিকল্প নেই।