প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে, অতঃপর যৌনপল্লিতে বিক্রির চেষ্টা!

Looks like you've blocked notifications!

নারায়ণগঞ্জের কিশোরীকে ভারতের পতিতালয়ে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। প্রেমের টানে যুবকের সঙ্গে পালানোর পর কথিত শাশুড়ি তাকে বিক্রির চেষ্টা করেন যৌনপল্লিতে। কিশোরী তা বুঝতে পেরে আশ্রয় নেয় পুলিশের কাছে। তার নিখোঁজের দুই মাস পর জানা গেছে এসব তথ্য। জানা গেছে, সে এখন আছে ভারতের সেভ হোমে। দূতাবাসের কর্মকতাদের মাধ্যমে এই খবর পেয়ে প্রশাসনের শরণাপন্ন হন ওই কিশোরীর পরিবার। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তাফা রাসেল জনিয়েছেন, কিশোরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

জানা গেছে, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই কিশোরী প্রেমিক নাঈমের সঙ্গে ঘর ছাড়েন। গত দুই মাস আগে মার্কেটে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয় সে। তারপর থেকে নিখোঁজ। হঠাৎ করে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে খোঁজ মেলে তার। কিশোরীর পরিবার জানতে পারে, সে ভারতের একটি হোম সেলে আছে। নিখোঁজ কিশোরীর পরিবারকে জানানো হয়, ভারতীয় পুলিশ তাকে সেখানে রেখেছে। এরপর বেড়িয়ে আসে পেছনের গল্প।

কিশোরীর মা জানায়, তার মেয়ে ও দূতাবাসের কর্মকর্তার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে জানতে পেরেছেন, প্রতিবেশী নাঈম তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নাঈমের মা ফারজানা মুন্সি ডেকে কথিত বিয়ে পড়ান। এর কিছুদিন পর ওই কিশোরীকে চিকিৎসার কথা বলে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যায় ভারতে। এরপর সেখানে একটি যৌনপল্লিতে বিক্রির চেষ্টা করে।

কিশোরী বুঝতে পেরে সেখান থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেয় পুলিশের কাছে। ধরিয়ে দেয় শাশুড়ি ফারজানাকে। 

এরপর পুলিশ ওই কিশোরীকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির (সিডব্লিউসির) নির্দেশে চিকিৎসা করিয়ে হোম সেলে পাঠায়। 

এদিকে, কিশোরীর সন্ধান পাওয়ার পর থেকে তাকে ফিরে পেতে ব্যাকুল হয়ে উঠেছে পরিবারের সদস্যরা। দূতাবাসের কর্মকতারা জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় কাজগপত্রের মাধ্যমে কিশোরীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

ভারতে অবস্থানরত কিশোরীর এমন ঘটনা শুনে তাকে ফিরিয়ে আনতে পরিবারের সদস্যদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

ওই কিশোরীকে ফিরে আনতে পুলিশও সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানান নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তাফা রাসেল। পাশাপাশি মানবপাচার রোধে স্থানীয়দের সচেতন হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।