‘প্রেম যুদ্ধে’র পরিচালক জীবন রহমান আর নেই
নব্বই দশকের সাড়াজাগানো পরিচালক জীবন রহমান আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার মঠখোলা গ্রামের নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ শুক্রবার বাদ জোহর মঠখোলা সরকারি কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
২০১৩ সালে ডায়াবেটিস, লিভার ও কিডনি রোগে আক্রান্ত হন জীবন রহমান। গত বছরের মাঝামাঝি ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এর পর থেকে তিনি শয্যাশায়ী ছিলেন।
পরিচালক সমিতির সাংগঠনিক সচিব কবিরুল ইসলাম রানা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘জীবন দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় মঠখোলা গ্রামের নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। আজ বাদ জোহর মঠখোলা সরকারি কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়। সবাই দোয়া করবেন, তিনি যেখানেই থাকুক যেন ভালো থাকেন।’
জীবন রহমান পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘গহর বাদশা বানেছা পরী’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রজগতে তিনি ব্যাপক সাড়া ফেলেন। এরপর একে একে ‘হুলিয়া’, ‘আজকের সন্ত্রাসী’, ‘প্রেম যুদ্ধ’, ‘আশার প্রদীপ’, ‘আলী কেন গোলাম’, ‘মহাসংগ্রাম’, ‘উত্তর দক্ষিণ’-এর মতো ব্যবসাসফল ছবি নির্মাণ করে চলচ্চিত্রজগতে জনপ্রিয় পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন জীবন রহমান।
নব্বই দশকের শেষ দিকে চলচ্চিত্রজগৎ যখন অশ্লীলতায় নিমজ্জিত ছিল, দর্শক তখন চলচ্চিত্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। দেশের চলচ্চিত্রজগতে যখন ধস নেমে আসে, ঠিক ওই সময় সুস্থধারার চলচ্চিত্র ‘মহা সংগ্রাম’ নির্মাণ করেন জীবন রহমান। এই ছবির জন্য তিনি ২০০৫ সালে ভাসানী স্মৃতি পুরস্কার লাভ করেন।
জীবন রহমান ১৯৬৪ সালে পাকুন্দিয়া উপজেলার মঠখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পাকুন্দিয়া হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করে ঢাকা কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি ও বিকম পাস করেন তিনি। সে সময় চলচ্চিত্র পরিচালক খসরু নোমানের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ১৯৮২ সালে খসরু নোমানের সহকারী হিসেবে নাম লেখান চলচ্চিত্রজগতে। নির্মাণ করেন ‘সোহেল রানা’। এরপর দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, কাজী হায়াৎসহ বেশ কয়েকজন পরিচালকের সঙ্গে চলচ্চিত্র নির্মাণে কাজ করেন। পাশাপাশি অভিনয়ও করেন।