ফজলে রাব্বী মিয়া অত্যন্ত সৎ ও দক্ষ ছিলেন : প্রধান বিচারপতি

Looks like you've blocked notifications!
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ছবি : সংগৃহীত

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সুপ্রিম কোর্ট বারে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সঙ্গে কাজ করেছি। তিনি অত্যন্ত সৎ ও দক্ষ লোক ছিলেন। তাঁর কর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে তিনি বেঁচে থাকবেন।’

জাতীয় ইদগাহ মাঠে আজ সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ফজলে রাব্বী মিয়ার প্রথম জানাজায় এ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট থেকে তিনি (ফজলে রাব্বী মিয়া) নিজ যোগ্যতাবলে পার্লামেন্টে গিয়েছেন। আমি আপনাদের কাছে একটি কথা বলব, তিনি যদি মনে কোনো কষ্ট দিয়ে থাকেন, আপনারা তাঁকে ক্ষমা করে দেবেন।’

এদিকে জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, আওয়ামী লীগের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সিটি করপোরেশনের পক্ষে শেখ ফজলে নূর তাপস ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এর আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলে রাব্বী মিয়াকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

এ ছাড়া দ্বিতীয় জানাজা বিকেল ৩টায় গাইবান্ধার সাঘাটার ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে ফজলে রাব্বী মিয়াকে সমাহিত করা হবে।

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা ৪টার দিকে মারা যান।

ফজলে রাব্বী মিয়ার বড় মেয়ে ফাহিমা রাব্বী রিটা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

জানা গেছে, ফজলে রাব্বী মিয়া নয় মাস ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন।

ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৪৬ সালে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের হয়ে যুদ্ধে অংশ নেন।

ফজলে রাব্বী মিয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য, গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলে রাব্বী মিয়া সবশেষ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসন থেকে সপ্তম বারের মতো জয়ী হন।