ফটো সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রংপুরে মানববন্ধন

Looks like you've blocked notifications!
রংপুরে আলোকচিত্রী গোলজার রহমান ওরফে আদর রহমানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সর্বস্তরের সাংবাদিকদের আয়োজনে মানববন্ধন। ছবি : এনটিভি

কালের কণ্ঠ রংপুর অফিসের আলোকচিত্রী গোলজার রহমান ওরফে আদর রহমানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সর্বস্তরের সাংবাদিকদের আয়োজনে মানববন্ধন ও পথসভা করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে রংপুরে কর্মরত সাংবাদিক সমাজের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় রংপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিক সরকারের সভাপতিত্বে পথসভায় বক্তব্য দেন সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন চৌধুরী, রিপোর্টারর্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ বায়েজিদ আহমেদ, বাংলাদেশ তৃণমুল সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটির রংপুর মহানগর শাখার সভাপতি মামুন উর রশিদ, রংপুর ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আফতাবুজ্জামান হিরু, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন রিফাত, কালের কণ্ঠ শুভসংঘ রংপুর জেলা শাখার সভাপতি ইরা হক, রংপুর মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি সিরাজুম মনির বাশার, তরুণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব পলাশ কান্তি নাগ ও কালের কণ্ঠের আঞ্চলিক প্রতিনিধি সীমান্ত সাথী প্রমুখ।

সঞ্চালন করেন ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম জীবন। এ সময় আদর রহমানের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর বাবা নুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, রংপুর সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর সময়কালে আদর রহমান ক্যামেরাপার্সন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় সিটি করপোরেশনের তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী আকতার হোসেন আজাদ ও নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ৩০ কোটি টাকা নয়ছয় করায় দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। ওই ঘটনায় আদর রহমান ছিলেন ঘটনার সাক্ষী। ঘটনায় মূল নায়ক দুই প্রকৌশলীকে করা হয় আসামি। পরে প্রভাবশালী ওই চক্রকে রেহাই দিতে সাক্ষী থেকে আদর রহমানকে আসামি করে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুদকের রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. নুর আলম আদালতে একটি অভিযোগপত্র দেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় আদর রহমানকে। বর্তমানে বহাল তবিয়তে রসিকে কর্মরত আছেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন। সিটি করপোরেশনের সাবেক কর্মকর্তা আকতার হোসেন আজাদ পরে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত হন। বর্তমানে তিনিও দুদকের তদন্ত শাখার পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান। রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. নুর আলম বর্তমানে বগুড়া দুদক কার্যালয়ে আছেন।

পথসভায় রফিক সরকার বলেন, ‘ঠিকাদারি কাজের ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের তৎকালীন ক্যামেরাপার্সন গোলজার রহমান ওরফে আদর রহমানের নির্বাহী ও প্রশাসনিক কোনো ক্ষমতা ছিল না। অথচ তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সাক্ষী থেকে আসামি করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রংপুরের সাংবাদিকরা এক ও অভিন্ন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই।’

এ সময় সাংবাদিক নেতারা আরও বলেন, আদর রহমানকে গ্রেপ্তারের ঘটনাটি বাংলাদেশে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সাক্ষী থেকে আসামি করার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সারা দেশে বৃহত্তর আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের শনাক্ত করে তাদের আইনের আওতায় নেওয়ার অনুরোধ জানান সাংবাদিকরা।