ফরিদপুরে আ.লীগনেতার ওপর হামলা

Looks like you've blocked notifications!

ফরিদপুরের সদর উপজেলার শিবরামপুর বাসস্ট্যান্ডে পত্রিকা আনতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক কাজল ঘোষ। আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে, এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগ ও থানা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিপুল ঘোষের দাবি, ‘শিবরামপুর রেলস্টেশনে পদ্মা সেতুর কাজে ব্যবহৃত পাথর নামার চুক্তি হয় পাথর ব্যবসায়ী শাহজাহান সাহেবের সঙ্গে। কিন্তু পাথর নামানোর বৈধ কাগজ রয়েছে আমার নামে। প্রভাব খাটিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হক ভোলা মাস্টারের নির্দেশে তার আত্মীয়স্বজন বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতের নেতাকর্মীরা বাধা দিয়ে দখল করে ইয়ার্ডটি। তাদের কোনো কাগজপত্র না থাকার পরও শুধু প্রভাব খাটিয়ে তারা এই কাজ শুরু করে।’ 

ওই আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, ‘ইয়ার্ড দখলের ঘটনার পর রাজবাড়ী রেলওয়ে থানায় একটি মামলা করি। ব্যাপারটি রেলমন্ত্রীকে জানানো হলে তিনি রেলের এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। মামলাটি রেকর্ডের পর জিআরপি পুলিশ আজ দুপুরে এজাহারভুক্ত দুই আসামি সোহেল ও রাজীবকে আটক করে নিয়ে যায়। আমার পরিবার সারা জীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আজ ভোলা মাস্টারের নির্দেশে তার আত্মীয়স্বজন বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতের নেতাকর্মীরা বাধা দিয়ে ইয়ার্ড দখল এবং আমার ভাতিজার গায়ে আঘাত করে; এটা কীসের সংকেত। শুধু রাজনীতির পদপদবি পাওয়ার জন্য আজ বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতের সঙ্গে হাত মেলানো কি ঠিক হয়েছে তার? আমরা শুনেছি তাকে মাসোহার হিসেবে প্রতি মাসে তিন লাখ টাকা করে দেবে।’

এ বিষয়ে আহত কাজল ঘোষ বলেন, ‘আমি আজ দুপুরে পত্রিকা আনার জন্য শিবরামপুর বাসস্ট্যান্ডে গেলে কোতোয়ালি থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরাফাত শাহ্, হেফাজতনেতা সাদ্দাম, আলাউদ্দিন শাহ্, জহির শাহ্, পাপুল, শহীদ ব্যাপারী, বায়োজিদসহ ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি দল আমার ওপর হাতুড়ি, বাটাম, ছ্যান নিয়ে হামলা করে। এ সময় আমার হাতসহ বিভিন্ন অঙ্গ ভেঙে যায়। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’ 

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, ‘আমি ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার এবং সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিষয়টি দেখার জন্য বলি। আমি এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন বলেন, ‘ওখানে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা নিন্দাজনক।’

এ ঘটনার পর ফরিদপুরের পুলিশ সুপার ও সদর থানার ওসিকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন বলেও জানান তিনি।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল জানান, ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপপরিদর্শক (এসআই) কৃষ্ণ কুমারকে পাঠানো হয়। এখন অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।