ফরিদপুরে দুই ভাই বরকত-রুবেলের বিচার শুরু

Looks like you've blocked notifications!
ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তাঁর ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল। ছবি : সংগৃহীত

ফরিদপুরের বহুল আলোচিত শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তাঁর ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এ মামলার বিচার কাজ শুরু হলো।

আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অস্ত্র আইনে করা পৃথক দুটি মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য দুই আসামিকে হাজির করা হয়।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) দুলাল সরকার বলেন, অস্ত্র আইনে দুটি মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য বরকত ও রুবেলকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। এরমধ্যে ১৩/২০ নম্বর মামলার আসামি হচ্ছেন সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেল। এ ছাড়া ১৪/২০ নম্বর আরো একটি মামলায় আসামি হচ্ছেন ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ও তাঁর সহযোগী রেজাউল করিম বিপুল।

সরকারি এই কৌঁসুলি আরো জানান, নিয়ম অনুযায়ী আসামিদের অভিযোগ শোনানোর পর জানতে চাওয়া হয় তাঁরা দোষী না নির্দোষ। জবাবে তাঁরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। এরপর আদালত অভিযোগ গঠন করে মামলার সাক্ষ্য শুনানির জন্য ১৩/২০ নম্বর মামলায় ২৭ অক্টোবর ও ১৪/২০ নম্বর মামলায় ২ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

মামলার আসামিপক্ষের অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান বলেন, স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল মামলা নম্বর ১৩ ও ১৪ এর আসামি হিসেবে আদালত তাদের বিরুদ্ধে ১৯ এর ‘এ’ এবং ‘এফ’ ধারায় এবং একইসঙ্গে ২১ এবং ২৩ ধারায় অভিযোগ গঠন করেছেন। আমরা এই মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন জানালে আদালত তা খারিজ করে দেন।

গত ৭ জুন রাতে শহরের বদরপুর থেকে নয়জন সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয় সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও রুবেলকে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে টাকা, মাদকদ্রব্য ও বিভিন্ন মালামালসহ ম্যাগাজিন ও গুলিসহ সাতটি অস্ত্র জব্দ করা হয়। পরের দিন ৮ জুন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাখাওয়াত হোসেন ও এসআই আবদুল জব্বার বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। এ দুটি মামলার তদন্ত শেষে ২৭ জুন ও ৩০ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

এ ছাড়া বিভিন্ন অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা করা হয়। অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় করা এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।