ফল বাতিল করে নতুন করে নির্বাচনের আহ্বান মির্জা ফখরুলের
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, ঢাকার সদ্য সমাপ্ত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায়ের প্রতিফলন ঘটেনি। তাই অবিলম্বে নতুন আরেকটি নির্বাচন দিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে সিটি নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির দুই পরাজিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জনগণের ওপর আস্থা নেই বলে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে সরকার। এর নমুনা ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায়ের প্রতিফলন ঘটেনি। এই সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন আর সম্ভব নয়। তাই ইসির প্রতি আহ্বান—অবিলম্বে নতুন আরেকটি নির্বাচন দিন।’
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর দেশের জনগণের কোনো আস্থা নেই। তাই ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি নেই। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, এটা কী ধরনের নির্বাচন, যেখানে পাঁচ থেকে সাত শতাংশ লোক ভোট দিয়েছে। এই ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘গেল ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জনরায়ের প্রতিফলন ঘটেনি। জনগণ ভোট দিতে পারেনি। তাই এই প্রহসনের নির্বাচনের ফল বাতিল করে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
ফখরুল আরো বলেন, ‘আর একটি কথা অত্যন্ত গুরুত্বসহ বলতে চাই, আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন এ দেশে হতে পারে না। তাই আমরা বারবার দাবি করছি, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই কেবল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে।’
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার কখনই সম্ভব না। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে।’
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপির দুই পরাজিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন। তাঁরা এই নির্বাচন বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের কাছে নতুন নির্বাচন দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন।
তাঁরা নির্বাচনের দিন কেন্দ্র দখল, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট জালিয়াতি, এজেন্ট বের করে দেওয়া এবং অভিযোগ দেওয়া সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশনের নীরব ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।