ফারহানা ও মাছুম ভৈরবের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত

Looks like you've blocked notifications!
কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর মোজাফ্ফর বেপারী সরকারি আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফারহানা বেগম ও পলতাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মাছুম মিয়া এ বছর ভৈরব উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। ছবি : সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর মোজাফ্ফর বেপারী সরকারি আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফারহানা বেগম ও পলতাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মাছুম মিয়া এ বছর ভৈরব উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। আজ সোমবার উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফারহানা বেগমকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা ও মো. মাছুম মিয়াকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ঘোষণা করা হয় বলে জানান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহমেদ।

উপজেলা অফিস সূত্রে জানা যায়, পাঠদানে দক্ষতা, বিদ্যালয়ের সমাপনী পরীক্ষায় শতভাগ সফলতা অর্জন, সহপাঠ কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণসহ শিক্ষাক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য ফারহানা বেগমকে উপজেলাপর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচন করা হয়।

২০০০ সালের জুন মাসে ১ তারিখে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। ইতিপূর্বে উপজেলার সাদেকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মানিকদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গোছামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি সুনামের সঙ্গে শিক্ষকতা করেছেন।

এর আগে ফারহানা বেগম ২০১৪ সালেও উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য ২০১৬ সালে উপজেলা পর্যায়ে জয়িতা নির্বাচিত হন। তিনি শিক্ষাজীবনে কবিতা আবৃত্তি, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি প্রতিযোগিতায় স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে একাধিকবার পুরস্কৃত হয়েছেন।

ফারহানা বেগম উপজেলার শিমূলকান্দি ইউনিয়নের গোছামারা গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা, অবসরপ্রাপ্ত ভূমি কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমানের মেয়ে এবং স্থানীয় দৈনিক পূর্বকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক-প্রকাশক সৈয়দ সোহেল সাশ্রুর স্ত্রী। তিনি দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের মা।

মো. মাছুম মিয়া ২০১০ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের তেয়ারীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগ দেন। ২০১৫ সালে ভৈরব পৌর এলাকার পলতাকান্দা সৃজনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হয় তাঁর।

এ বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকেই বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হোম ভিজিট, উঠান বৈঠক ও মা সমাবেশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করেন। সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ ও প্রস্থান, সঠিক সময়ে শ্রেণিতে গমন ও শিখন শেখানোর কৌশল প্রয়োগ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টেরের মাধ্যমে পাঠদান, সুদক্ষ বাচনভঙ্গি এবং উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে ক্লাসকে শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলেন।

এভাবেই বিদ্যালয়ের সার্বিক ফলাফলে সফলতায় ভূমিকা রাখছেন মাছুম মিয়া। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ উদ্দীপনা প্রদানের মাধ্যমে অংশ গ্রহণ করিয়ে সফলতা, বিদ্যালয়ে বিভিন্ন সহযোগিতামূলক কাজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে তিনি ভূমিকা রেখে চলেছেন।

শিক্ষকতার বাইরে মাছুম মিয়া একজন দক্ষ সংগঠক। তিনি শিক্ষকদের পেশাজীবী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। মাছুম মিয়ার ছোট বেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল একজন শিক্ষক হবেন। তিনি ভৈরব উপজেলা তেয়ারীরচর গ্রামের বেপারি বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম মো. রইছ উদ্দীন বেপারি। তাঁর কবিতা লেখা ও বই পড়া প্রিয়শখ।