‘ফিল্মি স্টাইলে’ কিশোরীকে অপহরণ, আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কিশোরীকে অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার জসিম উদ্দিনকে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে হাজির করা হয়। ছবি : এনটিভি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার্থী এক কিশোরীকে ‘ফিল্মি স্টাইলে’ অপহরণের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি মো. জসিম উদ্দিনকে রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আজ মঙ্গলবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় কতিপয় ব্যক্তি এসএসসি পরীক্ষার্থী এক কিশোরীকে জোরপূর্বক প্রাইভেটকারে উঠিয়ে অপহরণ করেন। পরবর্তী সময়ে অপহরণকারীরা ওই কিশোরীকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে সন্ধ্যার দিকে সদর উপজেলার সুহিলপুর এলাকায় নামিয়ে দেন। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় জসিম উদ্দিনসহ পাঁচজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধারায় একটি মামলা করেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘নজরদারির ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সকালে র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখা ও র‍্যাব-২-এর একটি দল রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মামলার প্রধান আসামি ও মূল পরিকল্পনাকারী মো. জসিম উদ্দিনকে (২৫) গ্রেপ্তার করে।’

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘জসিম উদ্দিন মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী। ভুক্তভোগী কিশোরীর ভাষ্যমতে, দীর্ঘদিন ধরে জসিম ওই কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। স্কুলে যাওয়া ও প্রাইভেট পড়তে আসা-যাওয়ার সময় জসিম উদ্দিন প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করতেন। কিন্তু কিশোরী প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন সময় জসিম তাকে অপহরণসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখান। সর্বশেষ গত শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ওই কিশোরী স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে জসিম উদ্দিন ও তার কয়েকজন সহযোগীসহ (ইরফান এবং আশিক) তার গতিরোধ করেন। এসব কথা জসিমও স্বীকার করেছেন।’

খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, ‘গতিরোধের পর কিশোরীকে জোরপূর্বক টানাহেঁচড়া করে একটি প্রাইভেটকারে উঠিয়ে অপহরণ করেন জসিমসহ তাঁর সহযোগীরা। পরবর্তী সময়ে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত আটকে রেখে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যার দিকে জসিম উদ্দিন তাঁর এক নিকটাত্মীয়ের বাসায় ভুক্তভোগী কিশোরীকে নিয়ে যান। এরপর ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, গণমাধ্যম ও এলাকায় জানাজানি হওয়ায় জসিম উদ্দিন ভুক্তভোগীকে আনুমানিক রাত ৮টার দিকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনার পর জসিম উদ্দিন রাজধানীর বাড্ডায় তাঁর এক নিকটাত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপন করেন। জসিম জানিয়েছেন, প্রাইভেটকারটি তাঁর এক আত্মীয়ের কাছ থেকে ভাড়ায় নেন তিনি।’