ফের বন্যায় ভোগান্তিতে সিরাজগঞ্জের বানভাসি মানুষ

Looks like you've blocked notifications!
সিরাজগঞ্জে ফের বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। ছবি : এনটিভি

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবারও প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। সাত দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে জেলার পাঁচটি উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষ। যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতিদিনই যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। দ্বিতীয় দফায় বন্যায় ভোগান্তিতে পড়েছে বাঁধে আশ্রয় নেওয়া মানুষ।

প্রথম দফার বন্যায় বাড়ি ফিরতে না ফিরতেই দ্বিতীয় দফার বন্যায় মানুষের ভোগান্তি আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে গবাদি পশু ও ছোট ছোট ছেলেমেয়ে নিয়ে বিপাকে পড়েছে মানুষ।। বাঁধের ওপর অস্থায়ী ঝুপড়ি ঘর তুলে খোলা আকাশের নিচে চলছে রান্নার কাজ। বাঁধ ভেঙে শহরে যাতে পানি প্রবেশ করতে না পারে, এ জন্য বাঁধের বিভিন্ন স্থানে বালুর বস্তা স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ নদনদীগুলোতেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এদিকে, বন্যার পানিতে জেলার কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার প্রায় দেড় লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

সিরাজগঞ্জ ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, 'যমুনা নদীর পানি কাজীপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার এবং সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবদুর রহিম বলেন, 'ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার কাজীপুর, বেলকুচি, সদর, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার ৩৩ ইউনিয়নের ২১৬টি গ্রামের দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব মানুষের জন্য ২১৫ টন চাল এরই মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শুকনা খাবার, শিশুখাদ্য ও গবাদি পশুর খাদ্যও বরাদ্দ দেওয়া হবে।’