ফ্ল্যাট থেকে উপসচিবের পচা-গলা লাশ উদ্ধার
পচা-গলা অবস্থায় পড়ে ছিল লাশটি। পচা শরীরে বাসা বেঁধেছিল পোকামাকড়। চারদিকে ছড়িয়েছিল দুর্গন্ধ। গন্ধে স্থানীয়রা টিকতে না পেরে খবর দেয় রাজধানীর রমনা মডেল থানা পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে বেইলি রোডের একটি বাসা থেকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় দরজা ভেঙে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আবদুল কাদের চৌধুরীর (৬০) লাশ উদ্ধার করে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শেখ মোহাম্মদ শামীম এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
শেখ মোহাম্মদ শামীম বলেন, ‘স্থানীয়রা লাশ পচে দুর্গন্ধ ছড়ানোর খবর আমাদের জানান। পরে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বেইলি রোডে অবস্থিত বেলি স্কয়ার নামে এক নম্বর ভবনের তিনতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দরজা ভেঙে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইমসিন ইউনিট তাঁর লাশটি উদ্ধার করে। আমরা যখন ওই ফ্ল্যাটে যাই, তখন ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ অবস্থায় ছিল। পরে আমরা দরজা ভেঙে লাশটি উদ্ধার করি।’
শেখ মোহাম্মদ শামীম বলেন, ‘দরজা ভেঙে দেখা যায় লাশটি পচা-গলা অবস্থায় পড়ে ছিল। প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছিল। সম্ভবত লাশটি আরো ছয় থেকে সাত দিন আগের। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তিনি শেষ অফিস করেছেন। এখন পর্যন্ত যতটুকু শুনেছি, আবদুল কাদের চৌধুরীকে ওএসডি করে রাখা হয়েছিল। সে জন্য বোধ হয় তিনি হতাশ ছিলেন। ২৬ ফেব্রুয়ারির পর থেকে তাঁর সঙ্গে আর কেউ যোগাযোগ করতে পারেননি। আমরা ধারণা করছি, বুধ-বৃহস্পতিবার তিনি মারা গেছেন। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, এই সন্দেহও আমরা মাথায় রেখেছি। যদিও কক্ষের ভেতর থেকে দরজা লাগানো ছিল।’
সহকারী কমিশনার আরো বলেন, ‘ওই ফ্ল্যাটে আবদুল কাদের চৌধুরী একাই থাকতেন। তিনি অসুস্থ ছিলেন বলেও আমরা শুনেছি। ফ্ল্যাটের ভেতর অনেক ওষুধও পড়ে ছিল। মরদেহ উদ্ধার করে আমরা তাঁর লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’