বন্যার্তদের ১০০ টন শুকনো খাদ্য ও চিকিৎসা দেবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র

Looks like you've blocked notifications!
পানিতে থই থই পুরো সুনামগঞ্জ শহর। ছবি : এনটিভি

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র আগামী কয়েকদিনে সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পানি না নেমে যাওয়া পর্যন্ত ১০০ টন চিড়া, গুড়, বন রুটি, টোস্ট বিস্কুটসহ শুকনো খাবার বিতরণ করবে। পানি নেমে যাওয়ার পর গরিব অসহায় পরিবারদের পুনর্বাসনেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। গতকাল শনিবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু এক বার্তায় এ তথ্য জানান।

আজ (গতাকাল) থেকে বন্যাকবলিত এলাকায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুটি মেডিকেল টিম চিকিৎসা সেবা দেবে। তারা গতকাল ঢাকা থেকে রওনা হয়ে আজ সিলেট ও সুনামগঞ্জে পৌঁছেছেন।

বার্তায় বলা হয়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে গত শুক্রবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, টানা অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে বৃহত্তর সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন অঞ্চল ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এমতাবস্থায় সিলেট বিভাগের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দুটি উপকেন্দ্রের মধ্যে সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার নওধার গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতালও বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজার গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালের আশপাশের গ্রামগুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় শুক্রবার জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা থেকে দুপুরে ৫ টন চিড়া এবং ১ টন গুড় সিলেট বিশ্বনাথ উপজেলার নওধার গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র ও সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজার গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালের আশপাশের গ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য পাঠানো হয়েছে।

বার্তায় আরও বলা হয়, পাগলাবাজার উপকেন্দ্রের সামনের মেইন রোড প্রায় ডুবু ডুবু অবস্থায় আছে। কিছু সময়ের মধ্যে রাস্তা ডুবে হাসপাতালে পানি ঢুকে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যায় প্লাবিত আশপাশের গ্রামের লোকজন বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদসহ যাদের দোতলা বাড়ি রয়েছে- সেইসকল জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। তার পাশাপাশি পাগলাবাজার গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতালেও প্রায় দুই হাজার জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এখনো লোকজন আশ্রয়ের জন্য হাসপাতালে আসা অব্যাহত রেখেছেন।

বলা হয়, সৃষ্টিলগ্ন থেকেই বিভিন্ন দুর্যোগের সময় মানুষের প্রতি গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র বিনামূল্যে চিকিৎসা ও খাদ্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে আসছে। বর্তমান বন্যায় পানিবন্দি মানুষের দুবেলা খাবার ও চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থায় সংগঠনটি কাজ করে যাচ্ছে।