বরিশাল বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ও উপসর্গে ১৩ জনের মৃত্যু
গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে করোনায় এবং এর উপসর্গ নিয়ে মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৫৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। যা নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২১ হাজার ১১৫ জন।
পাশাপাশি একই সময়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে সাত জন এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের বরগুনা জেলায় দুজন, পিরোজপুরে একজন এবং ঝালকাঠিতে দুজনসহ মোট পাঁচ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক জানান, মোট আক্রান্ত ২১ হাজার ১১৫ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৫ হাজার ৬২৯ জন।
করোনায় আক্রান্ত সংখ্যা বরিশাল জেলায় নতুন সর্বাধিক ১৮১ জন নিয়ে মোট নয় হাজার নয় জন, পটুয়াখালীতে নতুন ৫৪ জন নিয়ে মোট দুই হাজার ৭৭২ জন, ভোলায় নতুন ২৩ জনসহ মোট দুই হাজার ০৪ জন, পিরোজপুরে নতুন ১৩৮ জন নিয়ে মোট দুই হাজার ৯০৩ জন, বরগুনায় নতুন ৫৩ জন নিয়ে মোট আক্রান্ত এক হাজার ৭৬২ জন এবং ঝালকাঠিতে নতুন ৯৮ জন শনাক্ত নিয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৪৬৫ জন।
এদিকে, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে সাত জনের একং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে শুধু শেবাচিম হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২২৫ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৫৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর, উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ৫৭৯ জনের মধ্যে ১৩ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনও হাতে পাওয়া যায়নি।
শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত) শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৫৪ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে ১৪ জন ভর্তি হয়েছে। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ২৪৪ জন রোগী চিকিৎসাধীন। যাদের মধ্যে ৫৫ জনের করোনা পজিটিভ এবং ১৮৯ জন আইসোলেশনে রয়েছে। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৯০ জন করোনা পরীক্ষা করায়। যার মধ্যে ৫৩ দশমিক ১৫ শতাংশ পজিটিভ শনাক্তের হার।
এদিকে দিন দিন করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বরিশাল বিভাগের জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সাধারণ রোগীদের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে না আসা ও পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বাসুদেব কুমার দাস জানান, করোনার সংক্রমণ বরিশালজুড়ে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার মধ্যে বরিশাল নগরীতে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সবদিক বিবেচনায় নিয়ে সাধারণ রোগী যারা রয়েছেন—যেমন সাধারণ আহত, সর্দি বা কাশির রোগী, অর্থাৎ যেসব চিকিৎসা জেলা ও উপজেলার হাসপাতালে সম্ভব, সেসব রোগীদের শেবাচিম হাসপাতালে না আসা এবং না পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।