বর্জ্য থেকে ধলেশ্বরীকে বাঁচাতে ব্যতিক্রমী আন্দোলন
মুন্সীগঞ্জে সিমেন্ট ফ্যাক্টরি ও শিল্প-কারখানার বর্জ্যে ধলেশ্বরী নদী দূষণ ও দখলের প্রতিবাদে ব্যতিক্রমী কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
‘ধলেশ্বরী নদী বাঁচাও’ স্লোগানে দুই দিনের প্রতিবাদী আন্দোলনে নেমেছেন মুন্সীগঞ্জের নাগরিকরা। আজ শনিবার মুন্সীগঞ্জ নাগরিক সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে প্রথম দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।
মুন্সীগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বর থেকে বিকেল ৪টায় ধলেশ্বরী নদী রক্ষার দাবিতে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহর প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সংলগ্ন শহিদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। পরে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রতিবাদী নৃত্য, সংগীত, কবিতা আবৃত্তি ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করা হয়।
সন্ধ্যায় নাট্যকার মান্নান হীরার রচনায় ও শিশির রহমানের নির্দেশনায় মুন্সীগঞ্জ থিয়েটার সার্কেল পরিবেশন করে নাটক ‘ধলেশ্বরী কাব্য গাঁথা’। ‘ধলেশ্বরী বাঁচাও’ কর্মসূচিতে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হাজী মো. ফয়সাল বিপ্লব, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখা, মুন্সীগঞ্জ যুব রক্তদান সংস্থা একাত্মতা ঘোষণা করে।
ধলেশ্বরী নদী দখল ও দূষণের হাত থেকে রক্ষার দাবিতে মুন্সীগঞ্জ নাগরিক সমন্বয় পরিষদ স্থানীয় সংসদ সদস্যের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি পেশ করে।
সংগঠনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সুজন হায়দার জনির সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে মুন্সীগঞ্জের সাংস্কৃতিককর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ বক্তব্য দেন।
এ সময় তাঁরা বলেন, প্রতিবাদ নয়, ধলেশ্বরী নদী রক্ষায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি বুড়িগঙ্গা এবং শীতলক্ষ্যা নদীও রক্ষা করতে হবে। ধলেশ্বরী নদীর তীরে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সিমেন্ট ফ্যাক্টরি ও শিল্পকারখানা বিষাক্ত বর্জ্য ও অ্যাশ যেমন নদী ও পরিববেশ দূষণ করছে, তেমনি বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যার বিষাক্ত পানিও ধলেশ্বরীতে এসে যুক্ত হচ্ছে।
এদিকে, প্রতিবাদী নাগরিক সমাবেশের দ্বিতীয় দিনে আগামীকাল রোববার বিকেল ৩টায় মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাট এলাকায়ও একই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।