বসতঘর থেকে অজগর, নদীপাড় থেকে সুন্ধি কচ্ছপ উদ্ধার
সুন্দরবন সংলগ্ন মোংলার মাদুরপাল্টা গ্রামে বসতঘর থেকে আজ বুধবার একটি অজগর সাপ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। উদ্ধার হওয়া ওই সাপটি বনে ছেড়ে দিয়ে ফেরার পথে বন সংলগ্ন খড়মা নদীর পাড় থেকে একটি সুন্ধি কচ্ছপ উদ্ধার করে বনবিভাগ। কচ্ছপটি করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা স্টেশন কর্মকর্তা মো. শাহজাহান মোক্তাদির জানান, মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের মাদুরপাল্টা গ্রামের বাসিন্দা মাজেদ মৃধার বসতঘরের মধ্যে একটি অজগর সাপ ঢুকে ঘরে থাকা পোষা মুরগি কামড়ে ধরে। ঘরের লোকজন দুপুর ১টার দিকে ঘরে সাপের এ মুরগি ধরা দেখে ভয়ে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তা দেখে বনবিভাগকে খবর দেয়। এরপর বনবিভাগের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে সাপটি উদ্ধার করে দুপুর আড়াইটার দিকে জিউধারা অফিস সংলগ্ন বনে ছেড়ে দেয়। এ সাপটি লম্বায় ৯ ফুট এবং ওজন ছয় কেজি। এদিকে বনে সাপ ছেড়ে দিয়ে ফেরার পথে বন সংলগ্ন খড়মা নদীর পাড় থেকে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির একটি সুন্ধি কচ্ছপ উদ্ধার করে বনবিভাগের সদস্যরা। উদ্ধার হওয়া আধা কেজি ওজনের কচ্ছপটির বয়স দুই বছর। কচ্ছপটি বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সেটি সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানান বন কর্মকর্তা।
মো. শাহজাহান মোক্তাদির বলেন, খাদ্যের সন্ধানে সাপটি লোকালয়ের বসত ঘরে গিয়ে থাকতে পারে। কারণ সাপটি ঘরে ঢুকে পোষা মুরগি ধরেছিল। এ ছাড়া অসাধু লোকেরা বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির সুন্ধি কচ্ছপ পাচারকালে বনবিভাগের সদস্যদের দেখে নদীর পাড়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের গোড়াবুড়বুড়িয়া গ্রামের ফারুক হাওলাদারের মুদি দোকানের ভিতর থেকে একটি অজগর সাপ উদ্ধার করে বনবিভাগ।