‘বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রায় শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছে’

Looks like you've blocked notifications!
সোমবার প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো শেষে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : এনটিভি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে এসে আমরা শপথ নিয়েছি যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য জনগণের যে সংগ্রাম, তা অব্যাহত রাখব।’

আজ সোমবার সকালে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো শেষে এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা দেখেছি শুদ্ধি অভিযানের নাম করে ছোটখাটো দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত, শুধু তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা বড় দুর্নীতিবাজ, রুই-কাতলা সমস্ত সমাজকে গ্রাস করছে, তাদের সম্পর্কে কিছু আলোচনা হচ্ছে না। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। একটি-দুটি সেক্টরে নয়। শেয়ারবাজার দুর্নীতি, ব্যাংক কেলেঙ্কারি, বিদ্যুতের পাওয়ার প্ল্যান্ট দুর্নীতি, মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি। এগুলো এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন প্রায় শূন্যের কোঠায় এসে পৌঁছেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমনের উদ্দেশ্যে একটা পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে দুর্নীতি যে সর্বগ্রাস করেছে, তার বিরুদ্ধে জনগণের রুখে দাঁড়ানো দরকার। দুর্নীতি শুধু আর্থিক খাতে হয় না। সামাজিক দুর্নীতি, রাজনৈতিক দুর্নীতি সবচেয়ে বড় দুর্নীতির মধ্যে পড়ে। আমাদের দেশে সমস্ত দুর্নীতি শুরু হয়েছে। আজকে আর্থিক দুর্নীতি এমন এক পর্যায়ে গেছে, যেখানে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্যের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হচ্ছে।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘দুর্নীতির সবচেয়ে বড় কারণ দুর্নীতির মধ্য দিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করে দিয়ে বর্তমান সরকার ক্ষমতা দখল করে আছে। এ বিষয়ে জনগণ সচেতন হয়ে উঠছেন। তাঁরা প্রতিবাদ করছেন। সব ধরনের দুর্নীতি প্রতিরোধ করার জন্য তাঁরা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে এখন বিদেশিদের কাছে নালিশ করছে। এ কথার জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তাদের এগুলো পুরোনো কথা। এসব কথা গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেছে। এগুলো বলা ছাড়া তাদের কোনো উপায় নেই। এসব চটকদার কথা না বলে তো তারা মিডিয়াতেও টিকে থাকতে পারবে না।’

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির শীর্ষ এ নেতা আরো বলেন, ‘জনগণের কাছে তাদের কোনো জায়গা নেই। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাদের কোনো ভিত্তি নেই। তারা জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে রয়েছে। আওয়ামী লীগের উচিত এখন জনগণের কাছে যাওয়া। তারা যদি মনে করে, তারা এত জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল. তাহলে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে একটা নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন দিক। নির্বাচন দিলেই তো তা প্রমাণ হয়ে যায়। জনগণও তাদের প্রতিনিধিত্বমূলক একটি সরকার পাবে।’